যাচ্ছি তো যাচ্ছিই, ভাঙাচোরা রাস্তা, শেষ আর হচ্ছে না,
গন্তব‍্য একটি আধুনিক আবাসন, নাম নীরব মূর্ছনা!
কৈশোরের খুনশুটির প্রত‍্যাবর্তনের বিশাল বিজ্ঞাপন।
কোনও বহুতল নেই, সারি সারি নয়নাভিরাম কটেজ,
কিছুটা গ্রাম‍্য, কিছুটা নবীন স্থাপত‍্যের মিশ্রিত কোলাজ!
পুরোনো দিনের ল‍্যাম্পপোষ্ট, রাস্তা পিচ ঢালা মসৃণ।


পৌঁছতেই উষ্ণ অভ‍্যর্থনা, কি নেবেন, সফ্ট না হট?
এক ভদ্রলোক, স‍্যুট, টাই পরিহিত সহাস‍্য বদন,
অত‍্যন্ত অমায়িক ভঙ্গিমায়, করজোড়ে বললেন: আসুন।
হাতে দিলেন, আবাসনের একটি পরিচয় পুস্তিকা,
সঙ্গে, দাম, কেনার ফর্ম, এবং নির্মাণের খুঁটিনাটি,
একটি অযাচিত সুযোগ, কটেজ কিনলে গাড়ি ফ্রি।


আবাসনটির কেন্দ্রবিন্দুতে, একটি মনোরম জলাশয়,
চারপাশে উঁচু নিচু ঢিবিতে জৈব কৃষির সমারোহ,
নৈসর্গিক দৃশ‍্যের অবতারণা, কিছু খরগোশের বাসায়।
জলাশয়ের মাঝে, একটি কৃত্রিম দ্বীপে যাওয়া যায়
সুন্দর সেতু দিয়ে, অথবা সুসজ্জিত নৌকা বিহারে,
সেখানে কয়েকটি কেদারা, রঙিন ছাতাগুলোর নিচে।


শহর ছোট থেকে বড় হয়, পুঁজিপতিদের হাত ধরে,
স্বপ্নবিলাসী কিছু মানুষের, উচ্চাশার অলীক প্লাবনে,
কিছুটা বিজ্ঞাপনের মলাটের উৎকর্ষতার সৌজন‍্যে,
বেশিরভাগই জেগে ওঠে, সপ্তাহান্তের ছুটির আমেজে।
হাইব্রিড সমাজের প্রমোদ আবাসন, শহরের উপকণ্ঠে,
কিন্তু শহর নয় সুযোগ সুবিধায়, গ্রাম‍্য নয় মানসিকতায়।