কেউ একটা ডেকেছিল আমায়
ঠিক চন্দ্রস্নাত রাত্রিশেষের ফর্সা ভোরবেলায়,
তখনও ভোরের প্রথম মোরগ ডাকেনি বোধহয়,
শ্রান্ত ক্লান্ত নিশাচর, ফিরে গেছে আপন কুলায়,
কিছুটা ঘুমের ঘোর চোখে লেগে আবছা তন্দ্রায়,
ধীর পায়ে উঠে এসে, কাউকে তো দেখিনি সেথায়।


সারাটা দিন আজ কেটে গেছে চিন্তায় চিন্তায়,
তবে কি ভুল করে স্বপ্নঘোরে নিঝুম নিদ্রায়,
শুনেছিলাম গুরুগম্ভীর সেই স্বর ডেকেছে আমায়?
সেই স্পষ্ট স্বর, যা ছিল তন্দ্রাহরণী ভাবগম্ভীরময়,
ইতিপূর্বে এইভাবে, কেউ তো ডাকে নি আমায়।
যদি বা ডেকেছিল, কেনই চলে গেল রেখে বিষন্নতায়?


চৈত্রের আগুন বর্ষণে চেয়ে থাকি খোলা বাতায়নে,
উন্মুখ কাতরতা অবিরত নির্নিমেষ যুগল নয়নে,
সম্মুখে শ্রান্ত ক্লান্ত পথ জ্বলে পুড়ে তীব্র দাবদাহে,
দু একটি সারমেয় ক্ষুধার তাড়নায় হেথা হোথা ঘোরে।
দিন শেষে তমসার নিশা, আজও রাত্রি জাগরণে,
তারই প্রতিক্ষাতে, যে ডাকে আমাকে, রজনী সমাপনে।