কালকে যেখানে ছিলাম,
আজও সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি,
মাঝখানে চলে গেছে চব্বিশটা ঘণ্টা,
আর আমি একদিন বেশি বুড়ো হয়েছি।
কিছু শুনবো না, কিছু দেখবো না, কিছু বলবো না,
কে যেন বলেছিল, এটাই চেষ্টা করে দ্যাখো না,
সেই থেকেই আমি অন্ধ, বধির এবং বোবা,
দেখেও দেখি না, শুনেও শুনি না, উত্তরও দিই না।
চেনাজানা আত্মীয় স্বজন প্রায় সবাই ছেড়ে গেছে,
যার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই, কে থাকবে তার পাশে?
চোখের সামনে, আগে যা যা ঘটত না, সে সবই ঘটছে..
সবাই এখন আমার অস্তিত্বকে, তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে।
মাঝে মাঝে তাও, কেউ কেউ আসে আমাকে দেখতে,
যেমন চিড়িয়াখানায় যায়, ভাবলেশহীন পশু দেখতে,
ন্যুনতম প্রয়োজনগুলো, না বলতেই সমাধান হয়ে যাচ্ছে,
ইচ্ছেগুলো কিছুতেই পারছি না ফেরাতে, দিন ফুরচ্ছে।
জীবনবোধের সুগভীর চিন্তা থেকে এক নিদারুন কষ্ট ও অভিমানের আবহ তৈরি করলেন এই কবিতায়। যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তখন এই জগতের কাছে সবাই অস্তিত্বহীন হয়ে পরে, বয়স তার যাই হোক না কেন। এটা স্বার্থপরের পৃথিবী।
হৃদয়গ্রাহী কবিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ রইলো বরেণ্য কবি। শুভকামনা রইলো।
মূল একটা জায়গা - Hear no / Speak no / See no / EVIL! রূপকের কঠিন আবরণ! আমি অনুভব করতাম অস্তিত্ব হারানো একটি অবয়ব! কিন্তু নিগুঢ় যা, তা বোঝা কষ্টকর হতো আমার জন্য প্রথম পড়া বা দ্বিতীয় পড়াতেও। শুধুমাত্র কিছুর সাথে না মিলিয়ে একজন মানুষের ক্রমশ নিথর হয়ে পড়াটাই মূখ্য অনুভব হতো আমার কাছে। খুবই বুদ্ধিমত্তার কবিতা! যা ভাবাবে সমর্থ হবে এবং সেটাই সার্থকতা, বোঝার চেষ্টা রহস্যটা! তবে রাষ্ট্র যদি হয় তার কি দিন ফুরোয়, সে তো কোনো ব্যক্তির জন্য আটকে থাকে না! অনায়াসে প্রতিস্থাপিত হয়, এবং চলতেই থাকে। দিন ফুরোতে পারে শুধু একজন রাজার, পরের জন তো ওত পেতে দাঁড়িয়ে! তবে আবার স্থবির রাষ্ট্রের চিত্রটি ফুটেও ওঠে। মানে এই কবিতাটা এমন ভিন্ন ভিন্ন অনুভব করা যায়। অসহায়ত্ব, মূল্যহীনতা সুন্দর ফুটিয়েছেন! অশেষ শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।
রূপক নয় কবি, এটাই বাস্তব।
" সেই থেকেই আমি অন্ধ, বধির এবং বোবা "
একটা সময়ের পরে বেঁচে থাকার উৎকৃষ্ট উপায়। এর কোন বিকল্প হয় না।
আন্তরিক শুভেচ্ছা নিরন্তর, ভালো থাকবেন।
সম্মানিত কবি, আপনার অনন্য উদ্যোগের কারণে আমার কথাগুলো বেঁচে গেলো। এজন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আপনার লেখা থেকে আমার অংশটুকু নিয়ে তাই আবার মন্তব্য করলাম।
যেহেতু ট্যাগে রূপক আছে, সম্মানিত কবি জগদীশ মণ্ডল যা লিখেছেন, উপায় নেই তাঁর সাথে সহমত না হয়ে। আমি অন্য একটা দৃশ্যকল্প ভাবছিলাম কবিতাটি পাঠ করে। সেটা হলো একজন বয়স্ক জন যখন সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে নড়ন চড়ন বাকশক্তিহীন হয়ে যান, তাঁর কথা। এরপর আনুন আলোচ্য কবিতার পুরো তিন নম্বর স্তবক। তারপর চার নম্বর। আমার দৃশ্যকল্প শুধু কবির কাব্যগুণে হয়ে যায় ক্লাসিক মাষ্টারপীস।
আপনার সৃষ্টিতে মন্ত্রমুগ্ধ, সম্মানিত কবি।
জীবন ভাবনা এবং চলমান সমাজ ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে গভীর অনুভূতি এবং ভাবনার অপূর্ব প্রতিবাদী কবিতা! দারুণ মুগ্ধ হলাম প্রিয় কবি! অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
"ইচ্ছেগুলো কিছুতেই পারছি না ফেরাতে , দিন ফুরচ্ছে।"
ধন্যবাদ দেই এই ইচ্ছেগুলোকে ,ওরা আছে বলে জীবন চালিত হয় । ওরা ফুরলে সব ফুরিয়ে যাবে !
সুন্দর ভাবনার, জীবনবোধের কাব্য কথা, মুগ্ধ ।
শুভসকাল , অশেষ অশেষ শুভকামনা , ভাল থাকুন সদা , প্রবুদ্ধ প্রিয়কবি ।
বুড়ো হলে এই রকম ই হয় সবারই অস্তিত্ব। দারুন। শুভকামনা রইল প্রিয় কবি।
পুরো কবিতাটাই সুন্দর! অনেক অনেক সুন্দর! বিশেষ করে প্রথম দু'টো স্তবক আমার খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো কবি।
বুঝি বেলা বহে যায়,
কাননে আয় তোরা আয়...(কবিগুরু)
হার্দিক শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সবসময়।
জীবনবোধের অনন্য কবিতা। পাঠে মুগ্ধতা রইলো।
শুভকামনা প্রতিনিয়ত প্রিয় কবি।
অসাধারণ অনুভূতির বেশ চমৎকার একটি রূপক ও জীবনবোধের কবিতা ।। অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা ।। আজকের দিনটি আপনার ভালো কাটুক ।। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।। শুভ কামনা অবিরাম ।। শুভ রাত্রি প্রিয় কবি
রূপকতায় ভরপুর অনন্য জীবনবোধ চিত্রায়ণ মনোমুগ্ধকর ও মননশীল ; পাঠে মুগ্ধতা ছড়ানো অনুভূতি জাগায় প্রিয় কবি।
অনেক মন খারাপ জমে আছে, বোঝা যাচ্ছে।
দারুণ লিখেছেন কবি
জীবনের সার্থক চিহ্নই হল প্রতিক্রিয়া...
না থাকলে জড়ভরত সম দেহ ও হিয়া...
শিরোনাম ও কাব্যবক্তব্যের সামঞ্জস্যময় উপস্থাপনায় এক চেতন জাগানো ব্যঞ্জনা...
নিঃসন্দেহে অনন্যা***
সহজ করে বলা সত্যটা হৃদয়ে লাগে।
সবারই একদিন দিন ফুরাবে।
অতিচমৎকার অপূর্ব সুন্দর শব্দচয়নে রচিত প্রিয় কবিবন্ধুর জীবনবোধের কবিতাটি। খুব ভাল লাগা রইল। শুভসন্ধ্যা। ভাল থাকবেন সপরিবারে এই কামনা জানবেন।