সেদিন ঝড় বাদলের রাতে
আঙিনায় জল থই থই অন্ধকারে,
তিরতির করে চলা নদীটা তখন ফুঁসছে!
মুহুর্মুহুঃ বজ্রপাতে, আলোকমালার সৃষ্টি
ক্ষণে ক্ষণে সারাটা আকাশ জুড়ে।
পূর্বরাগের পূর্বাভাসে মনে উথালপাতাল ঢেউ,
হৃদয়ের ঢাকে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ছে
ঢিপ ঢিপ ঢিপ।


দরজাটা সশব্দে হাট করে খুলে গেল,
ঠাণ্ডা হাওয়া তীর বেগে স্পর্শ করতে লাগল
শরীরের আনাচে কানাচে,
তীব্র অনুভূতির নান্দনিক উত্তরণে,
ভালোলাগাটা ছড়িয়ে পড়ল
স্মৃতির অবগুণ্ঠন সরিয়ে সুদূর অতীতে।


সারারাত তুমুল বৃষ্টির পর ভোরে,
শ্রাবণের তাতা থৈথৈ নৃত‍্যের, সামান্য‍ একটু ঝিমুনি,
রাস্তায় জল টইটম্বুর,
প্লাস্টিকে খবর কাগজ মুড়ে কাগজওয়ালা,
জল ভেঙে ঝিরঝির বৃষ্টিতে কাগজ বিলি করছে।
হটাৎই চোখ পড়লো, মিত্র কাকুর বাড়ির ছাদে,
নানান রঙের ফুল গাছের মাঝে,
চাঁপা রঙের ভিজে শাড়িতে, ডাগর নয়ন দুটি মেলে,
মুক্তকেশী, সদ‍্য ষোড়শী পারুল দাঁড়িয়ে।
কে জানত ভোরের আলোতে
পারুল এত প্রাণবন্ত সুন্দরী?


লেখাটি উৎসর্গ করলাম, শ্রদ্ধেয় বরেণ‍্য কবি প্রণব মজুমদারকে। আমার ১১/০৫/২০২২ এর লেখা "সাইক্লোন অশনি" তে শ্রদ্ধেয় কবির মন্তব‍্য অনুসারে লেখা।