আরে তোমরা বোঝ না কেন?
আমাদের যেমন সবকিছু নেই,
তেমনই, যা আছে সেটাও তো কম নেই!
আর তাতেই তো আছে বেঁচে থাকার রসদ।
আমরাও পারি, অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে চলতে,
চাই শুধু নিজের প্রাপ্য ক্ষমতার ওপর অগাধ বিশ্বাস,
আর নিজেকে বোঝাতে হবে,
যা সম্ভব, তারই মাঝে আছে, উত্তরণের আশ্বাস।
সারা পৃথিবী দাঁড়িয়ে আমাদের পাশে,
এগিয়ে যাওয়ার ক্লান্তিহীন সঙ্কল্পে,
সঠিক পথের সন্ধান বের করে নিয়ে
আমরা ক্রমশই সাফল্যের শিখরে।
পৃথিবী ভোলেনি, দৃষ্টিহীন লুই ব্রেলের অবদান,
তাঁরই আবিষ্কৃত ব্রেইল পদ্ধতিতে
উন্মুক্ত, দৃষ্টিহীনদের পড়াশোনার আকাঙ্ক্ষার নিদান,
অজানাকে জানার, ভালোবাসার, এক নিগূঢ় উদ্যান।
বিশ্ববরেণ্য কবি রুদাকী, মিল্টন অথবা হোমার,
আরও আছেন মহাবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং,
প্রতিবন্ধকতা জয় করে, ছুঁয়েছিলেন সর্বোচ্চ শিখর,
তাদের অনুপ্রেরণাই আমাদের রসদ, চলার পথের।
এই পৃথিবীতে আছে আমাদের অনেক ভাই বোন ও বন্ধুরা,
দু হাত বাড়িয়ে সবাই দিচ্ছে, তাদের সঠিক পথের দিশা,
একটু ধৈর্য, একটু সাহচর্য, আর চাই প্রকৃত সহমর্মিতা,
জীবনটা রঙিন হবে সবারই, কাটবেই সব অমানিশা।
"সহমর্মিতার সংবেদন"