জানলার পাল্লাটা বন্ধ করে দিয়েছি,
বাইরে বিদ্রূপের বিষ মাখানো অট্টহাস‍ি-
সহ‍্য করতে পারছিলাম  না।
এতদিন খোলা ছিল,
রাত যখন বাইরের মৃদু মোহময়ী বাতাস-
হাসনুহানার গন্ধে বিভোর হয়ে যেত,
আমি রজনীগন্ধার গন্ধে, জানালা দিয়ে-
আকাশের ভেসে যাওয়া মেঘের ঘনঘটায়,
সেই কুহকিনী রজনীকে সন্দেহের চোখে দেখতাম।


আমি ঘরে বসে বসে উপভোগ করতাম-
ফুলের সৌগন্ধ কেমন বাতাসে লেপটে আছে,
এক পূর্ণিমা রাতে, চন্দ্রিমার আবেগঘন আলোতে-
দেখেছিলাম,জলাশয়ে কম্পিত চন্দ্রের প্রতিচ্ছবি,
মনে হয়েছিল, কুহকিনীর শিহরিত শরীর, ক্রন্দনরতা,
আমি সেই ক্রন্দন, তাচ্ছিল্য ভরে লিখেছিলাম।


আমি তো চেয়েছিলাম-
রক্তিম ঊষার লজ্জার অবসানে-
শিশির সিক্ত এক সকালের কোমল আহ্বানের ডাক।
যে আহ্বানে সাড়া দিয়ে-
খালি পায়ে বনবিথীর পাখির কুজনে হারিয়ে
এক শ্বেত শুভ্র নতুন ভোরের সূচনা লিখব।
কিন্তু রাত জেগে মায়াবী রজনীর বর্ণনা লিখে,
প্রথম নিদ্রার আবেশে, সেই ঊষার  প্রদীপ্ত আলো-
আমার কখনও  দেখা হয় নি।


এখন জানলার পাল্লাটা বন্ধ করে দিয়েছি,
আমার লেখায় শুধুই মায়াবী রজনীর তাচ্ছিল‍্য,
পাঠক কুলে আমি বিদ্রূপের ঝড়ের নিশানায়,
আমি পরিত‍্যাজ‍্য হয়ে, একাকীত্বের জীবনে।
তবুও আমার, এখনও জানতে ইচ্ছে করে,
প্রতিদিন ঊষার জন্ম লগ্নের সাথে-
সেই কুহকিনী রজনীর পট পরিবর্তনের কাহিনী।