নিমতলা শ্মশান মোড়ে থাকত পঁচানন্দ বুড়ো
ভালোবেসে আমরা তারে ডাকতুম পাঁচু খুড়ো।
এই তো সেদিন রাতের বেলা ঘটল এক কাণ্ড
খুড়ো নাকি পাগল হল পাড়াপড়শি বলে মন্দ।
ঘুমের ঘোরেই নাকি সে কেঁদে ওঠে হাউ মাউ  
বলে, 'আর হবে না খাওয়া মাছ-মাংস-পোলাও।'
'কী হল পাঁচু খুড়ো?' ভয়ে ভয়ে বলে মাধো  
'রাতদুপুরে ঘুমের ঘোরে চেঁচিয়ে কেন কাঁদো?'
'বলব কি আর তোদের স্বপ্ন সে কি ভয়ানক
ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয় হবে সে কি দুর্ভোগ।
দেখি গরু, ছাগল, মহিষ, ঘোড়া, হরিণেরা মিলে
ঘাস খাওয়া বন্ধ করে মাংসে রুচি শুরু করলে।
বাঘ, সিংহ, হায়না, কুমির সবাই কাঁদে হাউ মাউ
খাদ্য তাদের হল এখন কদু মিঞার মাঁচার লাউ।
সদাই ঘোষ সেদিন ভোরে দুধ দুইতে গিয়ে
কোনো রকম ফিরল বাড়ি আপন প্রাণটা নিয়ে।
দুইবার কালে গরুটা চায় কেমন যেন হিংস্র চোখে
হঠাৎ দিলে এক কামড় ঘোষ বাবাজীর ঠ্যাংটি দেখে!
পড়ি কি ভাই মরি করে দৌড় সে দিল বাড়ির পানে
করবে না আর ঘোষগিরি বাঁচলে শেষে আপন প্রাণে।
মুরগিগুলো কেমন যেন তেড়ে তেড়ে আসে
ছাগলগুলি আমায় দেখে অট্টহাসি হাসে।'
বলা শেষে পাঁচু খুড়ো আবার কাঁদে হাউ মাউ
'বুঝি আর হবে না খাওয়া মাছ-মাংস-পোলাও। '


--------------------
০৯/১০/২০১৬
কল্যাণী, নদীয়া