তোমারে দেখেছি আমি সক্রিয় অপটিকের অনুভব মস্তিষ্কে;
তোমার অনুভূতি ধাবন পাইয়া যাই আমার প্রতিটি অঙ্গের সংবেদী গ্রাহকে।


যখন পথ দিয়া গমন করো থ্যালামাস সক্রিয়তায় তাকায়ে তাকায়ে আমার দিকে;
আমার স্নায়ুতন্ত্র হারায়ে মন্ত্র বন্ধুর স্পর্শে তবুও স্নায়ু ফিকে।


যখন আসো শাড়ি অঙ্গে দুর্বল সুগন্ধী আলতো মেখে কিছু দুরে;
আমার অলফ্যাক্টরি জানায় প্রেমের অনুভূতি আমারে, পেছনে ফিরে পাই তোমারে।


গালে হাত, দুজনে তির্যক নয়নে হৃদ গতির সক্রিয়ে তাকাই দুজনে বারে বারে ;
দুজনে দেখি দুজনের তারারন্ধ্র ছোটো-বড়ো হচ্ছে প্রেমে আরে।


কি দারুণ এনামেল হাসি মুখে যখন হাসে আমারে আনন্দ দেখে;
হৃদগতি বাড়ায়ে চলে, আনন্দে আমার ইচ্ছে করে এইখানে যাই থেকে।


স্কুলের অতল প্রেমের মুহূর্তগুলি আমার ফ্রন্টাল-প্যারাইটাল লোব এমন বিঁধেছে মনে;
রাতে মেলাটোনিন নিষ্ক্রিয়, শুধু তারই মুখখানি নয়নে।


যদি এখন অন্ধ হয়ে যাই এই তীক্ষ্ণ অনুভূতির প্রেম রোডোপসিন হয়ে ভাসবে অক্ষি পানে;
তাই বারে বারে ভাবি যেন এমনি চলে প্রেম রক্ত-লসিকায় সুস্থ চলনে।।


রচনাকাল-
নিজ বাসভবন,
বৃহস্পতিবার,০৪/০৫/২০১৭,
বিকাল -০৪ঃ০৩,
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°


অপটিক = অপটিক নার্ভ চোখে থাকে, তার কাজ সকল দর্শনের অনুভূতি মস্তিষ্কে পেরন করা।


সংবেদী গ্রাহক = সংবেদী গ্রাহক/Sensory receptors হল যে অঙ্গের মাধ্যমে প্রাণী দর্শন, শ্রবণ, স্বাদ, ঘ্রাণ, স্পর্শ ইত্যাদি সংবেদন শনাক্ত করে অন্তর্মুখী স্নায়ুকোষে মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রেরণ করা


থ্যালামাস = অনুভূতির কেন্দ্র,আবেগের কেন্দ্র ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গের নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এটি মস্তিষ্কের মধ্যমস্তিষ্ক এবং বহিঃগুরুমস্তিষ্কের মধ্যবর্তী স্থানে থাকে।


স্নায়ুতন্ত্র = স্নায়ুকোষ দিয়ে গঠিত যে তন্ত্রের সাহায্যে প্রাণী উত্তেজনায় সাড়া দিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে, দৈহিক মানসিক ও শরীরবৃত্তীয় কাজের সমন্বয় ঘটায়,দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ সাধন করা।


অলফ্যাক্টরি = অলফ্যাক্টরি /বাইপোলার স্নায়ুকোশ নাসিকায়/নাকে থাকে, বাইরের গন্ধ /ঘ্রাণ নাসিকায় প্রবেশ করলে এই নার্ভ এই ঘ্রাণের অনুভূতি মস্তিষ্কে পেরণ করে তার পর আমরা সাড়া দেই।


তারারন্ধ্র = হৃৎধ্বনি বেড়ে গেলে বা ভয় পেলে বা হঠাৎ চোখে আলো পড়লে ইত্যাদি তখন চোখের তারারন্ধ্র /পিউপিল ছোট বড়ো হয়।


এনামেল = দাঁতের উপর সাদা চকচকে প্রলেপ বা আচ্ছাদন।


ফ্রন্টাল-প্যারাইটাল = গুরু মস্তিষ্কে সামনে ও মধ্য খণ্ড এদের কাজ স্পর্শবোধ ও চেতনাবোধ নিয়ন্ত্রণ করা।


মেলাটোনিন = নিদ্রা বা ঘুম আসার হরমোন।


রোডোপসিন = চোখের রেটিনায় রড ও কোন নামে দুটি স্নায়ুকোশ থাকে। কোন কোষে আয়োডপসিন ও সায়ানপসিন নামে রঞ্জক থাকে যা দিনের উজ্জ্বল আলোতে কাজ করে।
আর রড কোষে রোডোপসিন নামে রঞ্জক থাকে যা রাতের মৃদু আলোতে কাজ করে।


রক্ত - লসিকা = দেহের সমস্ত কাজ করে দেহকে সুস্থ রাখে।