শঙ্কর রুদ্র -এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে শঙ্কর রুদ্র -এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:7d185313-565e-4d50-be79-02a6df9502c9;id=4082024-03-29T11:48:17Zhttps://www.bangla-kobita.com/subrata128/shunya-tori/শূন্য তরী2023-06-24T13:06:58-04:002023-06-25T15:45:47-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>সাত সকালে নদীর ঘাটে বাই যে আমার তরী।<br />সারাটি দিন জলের বুকে এপার অপার করি।।<br />জোয়ার কিম্বা ভাটার টানে ধরি নায়ের দাঁড়ি।<br />ঝড় ঝঞ্ঝা তুফান মাঝে সাবধানে পাড় করি।।<br />পাড় করেছি ছেলে-মেয়ে বাচ্চা বুড়ো-বুড়ি।<br />দিনের শেষে হিসাব কষি পাইনি কানা কড়ি।।<br />সাঁঝের কালে খেয়ার ঘাটে বাঁধি আপন তরী।<br />শূন্য হাতে খুশি মনে ভাড়ার ঘরে ফিরি।।<br />ছিদ্র আজি নায়ের বুকে, ছিঁড়ছে তরীর পালে।<br />প্রভুর নামে ভাসাই তরী বদর বদর বলে।।<br />প্রভু যেদিন নিজের ঘরে নিয়ে দেবেন পাড়ি।<br />নদীর বুকে যাবে ভেসে আমার শূন্য তরী।।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/nangto-khoka/ন্যাংটো খোকা 2023-06-20T03:25:55-04:002023-07-22T05:53:52-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>ন্যাংটো খোকা<br />কোথায় যেন ফুটছিল ভাত তিনতলার এক ঘরে<br />ভাতের গন্ধে ন্যাংটো খোকা দাঁড়ায় পথের ধারে।<br />কতদিন তার জোটেনি খাওয়ার পড়নেতে নেই বেশ।<br />ভাতের গন্ধে মনে পরে যায় কোথায় আপন দেশ।<br />বাবা যে তার ক্ষেতের পরে করতো কতই চাষ<br />মায়ের হাতের রান্না খেয়ে কাটতো বারোমাস।<br />ঘাটুল মেলায় মা হারাল, পায়নি আজো খুঁজে<br />বাপ যে কোথায় গেল চলে ছেরে পথে মাঝে।<br />জমিজমা সব গিয়েছে, গিয়েছে ঘর খানি<br />ন্যাংটো খোকার জোটেনা খাওয়ার পড়নেতে নেই কানি।<br />পথের পরে ঘোরে ছেলে খুঁজে বেড়ায় মাকে।<br />কলের জলেই পেট ভরে আর পথেই পরে থাকে।<br />মন্দিরে বা মসজিদে তার অন্ন জোটেনা ॥<br />আস্তাকুরে খোঁজে খাওয়ার পেট তো মানেনা।<br />পথের ধারে শুতে গেলে সবাই তাড়া করে<br />একলা খোকা পরে থাকে অত্রি নদীর ধারে।<br />নেইকো অন্ন নেইকো বস্ত্র নেইযে থাকার বাস।<br />ভাতের গন্ধ প্রাণ ভড়ে নেয় মেটায় মনের আশ।<br />উথলে ওঠে ভাতের হাড়ি, ঝলকে পরে জল<br />আমন ধানের গন্ধে ছেলের চোখ করে ছলছল।<br />কতই অন্ন দেয় যে ফেলে আস্তাকুরের পরে<br />দেয়নি তো কেউ একটু অন্ন অনাথ শিশুটিরে।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/chiroshotru/চিরশক্র 2023-06-16T15:33:51-04:002023-06-26T14:03:08-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>চিরশত্রু<br />সন্ধ্যাকালে যখন ছিলেম ঘরের মাঝে একা।<br />এলে তুমি আমার ঘরে, পেলাম তোমার দেখা।।<br />তোমার ডাকে দিয়ে সাড়া ধরতে যখন যাই।<br />ফাঁকি দিয়ে যাও গো সরে ধরতে নাহি পাই।।<br />সুগন্ধেতে মন ভোলাতে ধূপটি দিলেম জ্বেলে।<br />লুকিয়ে থাকো কোথায় তুমি, দেখা নাহি মেলে।।<br />রাতেরবেলা বিছানাতে গেলাম শুতে আমি।<br />আঁধার রাতে শোনালে গান, গালেতে দাও চুমি।।<br />হাত বাড়িয়ে খুঁজি তোমায়, স্পর্শ নাহি মেলে।<br />লুকোচুরি খেলে আমায় হারিয়ে তুমি দিলে।।<br />সারাটি রাত করলে আদর আমায় ঘুরে ফিরে।<br />কানের কাছে গুনগুনিয়ে ঘুম পারালে মোরে।।<br />ঘুমের মাঝেই অনুভবি তোমার ভালোবাসা।<br />জড়িয়ে তোমায় ধরার লাগি মনে জাগে আশা।<br />রাত্রি জাগার ক্লান্তি নিয়ে ভোরের বেলা শেষে।<br />এলিয়ে দিলে শরীরখানি আমার পাশে এসে।।<br />সহস্রাক্ষী তন্বীদেহি তীক্ষ্ণশুণ্ডধারী।<br />পক্ষীকুলে জন্ম তব, রক্ত শোষণকারী।।<br />সকাল হলে দিলে ধরা, পুড়ল মনের আশা।<br />তুমি আমার চিরশত্রু, অ্যানোফিলিস মশা।।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/varun-o-boddi-khuro/বরুন ও বদ্দিখুড়ো2023-06-09T07:49:43-04:002023-06-26T14:03:21-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>বরুন ও বদ্দিখুড়ো</p>
<br /><p>বদ্দি-খুড়ো বললে রেগে সহ্য যে আর হয় না।<br />বরুণ পবন কোথায় গেল, গরম কেন যায়না।।<br />বললে বরুণ, এখন কেন মোদের দোষী কর।<br />নিজের দোষেই মরছ সবাই, নগরায়ন করো।।<br />ক্ষেত-খামারে ধ্বংস করে, নষ্ট করলে বন।<br />বনের যত পশু-পাখি ঘরছাড়া এখন।।<br />বন-জঙ্গল কেটে দিয়ে গড়লে শহর সেথা।<br />নদীর জলকে বাধবে বলে বাঁধলে যথা তথা।।<br />ঘর ঠাণ্ডার মেশিন লাগাও, গাড়ীতে চেপে ঘোর।<br />ইন্দ্র দেবের রোষের ফলে এখন জ্বলে মর।।<br />পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ আর পরমাণু বোমা।<br />সূর্য্যি মামা গেছেন রেগে, করবে সবে ঝামা।।<br />ময়দানবের বংশধরে ছেয়ে গেছে দেশ।<br />নগরায়নের নামে প্রকৃতি আজ শেষ।। <br />পবন যখন জেগে ওঠেন হটাৎ সাগর পরে।<br />তটের দিকে আসেন ধেয়ে আমায় সঙ্গে করে।।<br />নদীর জলে ঢেউ তুলে যেই এলো এবার জোয়ার।<br />কেঁদে বল সব যে গেল, ভাঙল এ ঘর দুয়ার।। <br />ত্রাহি ত্রাহি রব তুলে দাও, ধেয়ে আসি যবে।<br />গরমেরে দোষ কেন দাও, এমনটাই তো হবে।।<br />এখনো তো সময় আছে বলছি শোন খুড়ো।<br />সবাই মিলে গাছ লাগাতে চতুর্দিকে ঘোর।।<br />বন্ধ করো বোমা যুদ্ধ, বাঁচাও প্রকৃতিরে।<br />দেখতে পাবে আমরা আবার সবাই আসব ফিরে।।<br /> <br /> শঙ্কর রুদ্র</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/delivery-boy/ডেলিভারি বয়2023-05-04T17:04:05-04:002023-06-27T02:11:10-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>ডেলিভারি বয়</p>
<br /><p>আসুন, আজ আপনাদের একটা গল্প বলি,<br />না! রাজা-রানী বাঘ-সিংহ বা ভুত-প্রেতের নয়।<br />এ এক বড় না হওয়া সাধারণ ছেলের গল্প।<br />ছোটবেলায় বাবা-মা মাস্টার সবাই বলতেন<br />ভালো করে মন দিয়ে পড়াশুনা কর, <br />না হলে বড় হতে পারবে না।<br />ছোটবেলায় বাবা চলে গেলেন অজানার দেশে।<br />কেমন করে যেন বড় হয়ে গেল সেই ছেলে।</p>
<br /><p>মা যেতেন মাসি-পিসি-ঠাকুমার বাড়ি,<br />এঁটো বাসন মেজে রান্না করতে। <br />ভাই বোন তাকিয়ে থাকতো ছেলেটার দিকে।<br />লোকের গাড়ি মুছে, সাইকেলে মেরামত করে,<br />কখনও যায় উৎসব বাড়ীতে বাসন ধুতে।<br />সেদিন কিছু ভালো খাবার জোটে সকলের কপালে।<br />কি ভাবে যেন বড় হয়ে গেল ছেলেটা।</p>
<br /><p>লুকিয়ে জানালার বাইরে দাঁড়িয়ে শোনে মাস্টারের পড়া।<br />একদিন ধরা পরে গেল তার মুখ।<br />রাত্রে কাজের শেষে শুরু হল তার পড়া মাস্টারের কাছে।<br />একটা পাশ দিতেই মা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।<br />আদরের বোন করে মায়ের ছেড়ে যাওয়া রান্নার কাজ,<br />ছোট ভাই সারায় বাইক, ঘোরায় সাইকেলের চাকা।<br />মস্ত ব্যাগ কাঁধে ছুটে চলে ছেলেটা।<br />ঝড় বৃষ্টি বা প্রখর রোদ বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই তার। <br />পৌঁছে দেয় নানা জনের নানা জিনিষ সময় মতন।<br />এ যুগের ডাক হরকরা সে, পৌঁছে দেয় সকলের দোরে।<br />বড় হয়ে গেল সেই ছেলে।</p>
<br /><p>জানি বলবেন, তারপর, তারপর কি হল ছেলেটার।<br />থাক, সেটা না হয় আপনারাই সাজিয়ে নিন,<br />আমি যাই তার সাথে জিনিষ অনেক পৌঁছাতে হবে যে।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/aynay-ami/আয়নায় আমি 2023-05-02T16:57:28-04:002023-06-26T14:03:07-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>আয়নায় আমি</p>
<br /><p>পুরানো খাতার মাঝে পেলাম এক ছবি।<br />সুপুরুষ যুবকের দিকে তাকিয়ে থাকি অপলক চোখে।<br />আয়নার সামনে আমি, ভেতরে বাইরে দুটোই আমি।<br />আঙ্গুল তুললাম বাইরের আমি, সে দেখাল আমায়।<br />মুখ বেঁকিয়ে দাঁত মাজি, দাড়ি কাটি, হাসি কাঁদি<br />সাথ দেয় ভেতরের আমি। একে আমি চিনি।<br />কোথায় হারিয়ে গেল একমাথা ঝাঁকড়া চুলের সেই যুবক।<br />নেই সেই চোখের উজ্জ্বল দৃষ্টি, বলিষ্ঠ শরীর।<br />আয়নার আমি হাসতে থাকে আমায় দেখে।<br />চশমা খুলে আবার দেখি, সে এখন ঝাপসা।<br />মাথায় আজ নেই সেই চুল, গোঁফের রঙ সাদা।<br />মুচকি হেঁসে বলে ভেতরের আমি, <br />শুরু থেকেই আছি তোমার সাথে, থাকবো চিরদিন।<br />সবাই বদলে গেলেও আমি না, আমি যে তোমার ছায়া।</p>
<br /><p>একদিন আয়না থেকে বেরিয়ে আসবে সেই আমি<br />ধরবে আমার শীর্ণ হাত, ডেকে নেবে আয়নার মাঝে।<br />এক হয়ে যাব বাইরের ভেতরের দুই আমি।<br />পরে থাকবে শুধু আমার ছবি। <br />হয়তো যুবকের নয়, এক বৃদ্ধের।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/sada-chadar/সাদা চাদর2023-02-25T15:51:17-05:002023-06-26T14:03:19-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>গাড়ি থেকে নেমে প্রথমবার তাঁকে দেখেছিলাম।<br />অবাক বিস্ময়ে ছিল সে তাকিয়ে আমার পানে।<br />ঘর্মাক্ত শরীরে হাতে ছিল কিছু পেন আর নোট বুক।<br />চলে যাওয়ার পথে অনুভব করেছি পিছনে তাঁর দৃষ্টি। <br />রোজ হয়েছে দেখা, অপলক চোখে থাকত সে চেয়ে।<br />একদিন গেলো সে হারিয়ে, দুটি চোখ খুঁজেছে তাঁকে।<br />হয়তো তরুণীর চলার পথ গোপনে করেছে সে অনুসরণ।<br />ব্যাকুল তরুণীর মন হয়েছে হতাশ না দেখে তাঁকে। <br />ট্রেনে বাসে তাঁকে দেখেছি হাতে সেই পেন আর নোট বুক।<br />কখনো বিনা প্রয়োজনেও নিয়েছি কিছু কিনে।<br />দেখেছি তার মুখে পরম তৃপ্তির হাসি।<br />ডাক্তার হয়ে কাজ পেলাম সরকারী হাসপাতালে।<br />শেষ পারানের কড়ি গোনা রুগীদের সেবাশ্রম।<br />সেখানেই এসেছিলাম দেখতে মুমূর্ষু রুগীদের ।<br />দেখলাম তাঁকে, হাসিমুখে নিঃস্বার্থ সেবা করে চলছে সে।<br />অবাক চোখে দেখলে আমায়, মুখে তাঁর অম্লান হাসি। <br />জানলাম এক ফেরিওয়ালা এখানে করেন মানুষের সেবা।<br />হয়তো মনের কোণে জমেছিল একখণ্ড ভালোবাসার মেঘ।<br />বিনা কারণে চলে যেতাম সেথায় শুধু দেখব বলে তাঁরে। <br />ডাক পেলাম সেবাশ্রম থেকে, সে ডেকেছে আমায় দেখবে বলে।<br />দুলে উঠল মন, আজ হয়তো এসেছে সেই শুভ সময়।<br />শুনব আজ বহু প্রতীক্ষিত সেই কথা, হয়তো বলবে কিছু সে।<br />মারণ রোগকে আলিঙ্গন করে শুয়ে আছেন এক ফেরিওয়ালা,<br />সেবকের শান্ত শরীর রেখেছে ঢেকে একখণ্ড সাদা চাদর।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/letter/চিঠি2021-11-11T15:20:32-05:002023-06-26T14:03:12-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>প্রিয়তম -<br />ভেবেছিলেম উত্তর না এলে নাই বা দিলেম পত্র।<br />জানিনা মনের কি যে হল আজ<br />লেখনী সচল হয়ে সৃষ্টি করল লিপিকার।<br />হায় রে মন! কৈশোরের সখ্যতা, যৌবনের মত্ততা,<br />বারংবার প্রতিহত হয়েও যে ছুটে যায় সে প্রেম।<br />অল্পদিনের পরিচয় - নেহাতই আলাপ, ক্রমে সখ্যতা,<br />একসাথে পড়াশুনা সঙ্গীতচর্চা রাজনীতির মঞ্চ।<br />জানিনা কখন নিজের অজান্তে মনের কোণে<br />জমেছে এক খণ্ড ভালোবাসার মেঘ।<br />যে কুঁড়িটা জন্মেছিল অবাঞ্ছিত জংলা গাছটার শাখায়,<br />সে বুঝি ভুলেছিল সকলে প্রকৃতির মত নয় দরদী।<br />কি অন্যায় কি অন্যায়, অবহেলিতের কি দুঃসাহস।<br />চোখে তার স্বপ্ন ফুল হয়ে ফুটে ওঠার।<br />অবহেলিত অবাঞ্ছিতের নেই সেই অধিকার।<br />নিমেষে রসদ হল বন্ধ, সমূলে সে হল উৎপাটিত।<br />প্রথম যে এসেছিল মনে, স্বপ্ন দেখেছি যাকে<br />অবহেলায় হাসিমুখে বারংবার দিলে মোরে ফিরায়ে।<br />আচম্বিতে হল সাক্ষাৎ এক জলসায়।<br />গর্বভরে দেখালে তুমি শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার।<br />শত প্রশ্নের পাইনি কোন উত্তর।<br />বিদায় ক্ষণে মৃদু স্বরে বলেছিলে, বদলে গেছ অনেক, <br />অনেক কিছু ছিল বলার হল না বলা।<br />শোনার আশায় হতে হল ব্যর্থ। <br />জানিনা এ চিঠি তুমি পড়বে কিনা।<br />জানিনা জবাব দেবে কি না কোন।<br />হয়তো সময়াভাবে হবে না পড়া,<br />হয়তো বা অবজ্ঞায় বা অবচেতনায় দেবে ফলে।<br />জীবনের সূর্যাস্ত বেলায় হয়তো বলবে-<br />নাইবা বাসলেম ভালো, নাইবা রাখলেম মনে<br />তবু তো রইলেম অমর হয়ে তাঁর পত্রের মাধ্যমে।<br />তবু বলি, আমি ছিলাম আছি থাকব চিরকাল<br />তোমার ঘৃণায়- অবজ্ঞায়- অবহেলায় তোমার হয়ে<br />জঙ্গলের অবহেলিত কুঁড়ির মতন।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/anamika/অনামিকা2021-10-10T17:29:06-04:002023-06-26T14:03:07-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>কবে কোথায় হয়েছিল দেখা জানিনা<br />কেবল মনে পরে তার মুখখানি ।<br />দুটি কাজল কালো হরিণ চোখে<br />লুকানো কিছু না বলা কথা।<br />মনে হয় দুটি গোলাপ পাপড়ি মাঝে<br />অস্ফুটে ভেসে আছে মদির হাসি।<br />কেবল কানে বাজে তার কিঙ্কিণি ধ্বনি।<br />মনে হয় বুঝি বলে “আমি এখানে”।<br />কেহ বুঝি দূর থেকে দেয় ডাক প্রিয় বলে।<br />জানি না সে কে বা আছে কোথায়<br />বারংবার তা ছবি ভেসে ওঠে মনের গভীরে।<br />শুনি তার পদধ্বনি আমার অন্তরে।<br />সেই বুঝি আমার বহু পরিচিতা, অনামিকা।।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/manuscript/পাণ্ডুলিপি2021-10-07T15:46:50-04:002023-06-26T14:03:12-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>পাণ্ডুলিপি</p>
<br /><p>বিদায় ক্ষণে পিছু ডেকে দিলে সে বাধা<br />সামনে এসে করল ছোট্ট একটা প্রণাম।<br />নতমুখে জানালে আবার এসো ফিরে।<br />হয়নি কোন জবাব দেওয়া,<br />জানিনা আবার কবে হবে দেখা।<br />আমন্ত্রণ পেলাম সঙ্গীত জলসার,<br />প্রধান শিল্পী হিসাবে শোনালে সে<br />মন ছোঁয়া কিছু ভালোবাসার গান।<br />কোথায় সুরে ফুটে উঠেছে কবির অন্তরের ব্যথা।<br />খোঁজ করে জানলাম কবি অখ্যাত কেউ।<br />হারিয়ে গেল সেদিনের সেই শিল্পী<br />প্রকাশক জানালেন পাণ্ডুলিপি গেছে চুরি।।</p>
<br /><p> শঙ্কর রুদ্র</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/pushi/পুষি 2021-10-04T19:12:29-04:002023-06-26T14:03:17-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>পুষি </p>
<br /><p>মামার বাড়ির ছোট্ট পুষি, <br />লম্ফে ঝম্পে বেজায় খুশি<br />দুধের বাটি দেখলে পরে <br /> চোখ বুজে কয় ম্যাঁও।<br />ইঁদুর ছানা দৌড়ে বেড়ায় <br />পুষি যেন দেখতে না পায়<br />ধরবে বলে খাটের তলায়<br /> তাক করে রয় তাও।। <br />বসলে খেতে বসবে পাশে<br />চোখটি বুজে ধ্যানীর বেশে<br />খাওয়ার শেষে ছুটবে সোজা<br /> ওই কুয়ো তলায়।<br />আমের বনে লিচু তলায়<br />সারাটি দিন দৌড়ে বেড়ায়<br />সন্ধ্যে হলেই ঢুকবে এসে<br /> নন্দুমামার লেপের তলায়।।<br />মাছের কাঁটা দুধের বাটি<br />খুকুর সাথে হুটোপুটি<br />এসব দেখে যেমনি আমি <br /> ধমকে বলি যাও।<br />আনন্দেতে লাফিয়ে ওঠে <br />এদিক থেকে ওদিক ছোটে<br />কার্নিশেতে শুয়ে পরে <br /> আহ্লাদে কয় অ্যাঁয়ও।।<br />পড়াশুনায় নেইকো মতি<br />লাফালাফি ছুটোছুটি<br />ধরতে গেলেই উপর থেকে <br /> এক লাফেতে ঝুপ।<br />অন্য বেড়াল দেখলে পরে<br />মারামারি ঝগড়া করে<br />বাঘার ডাকটি কানে গেলেই<br /> এক্কেবারে চুপ।।<br /> <br /> শঙ্কর রুদ্র</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/friend/বন্ধু2021-04-06T16:39:17-04:002023-06-26T14:03:10-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>তেমন বন্ধু চাইনা আমার <br /> যারা কেবল সুখে থাকে,<br />বন্ধু বলে জানি তাকেই <br /> সদাই যে জন পাশে থাকে।<br />বন্ধু আমার সেই জন নয় <br /> সদাই কেবল বাহবা দেয়,<br />বন্ধু সে জন ভুল হলে <br /> যে এগিয়ে এসে শুধরে দেয়।<br />বন্ধু আমার সেই জন নয় <br /> যে শুধু তার সুখটা দেয়,<br />তাকেই আসল বন্ধু জানি<br /> যে জন দুঃখ ভাগ করে নেয়।<br />বন্ধু তো নয় সেই জন <br /> যে সুখের সময় পাশে থাকে,<br />বন্ধু আমি বলি তাকেই <br /> শশ্মানেতে যে সাথে থাকে।<br />আজ বাদে কাল যায় যে ভুলে, <br /> বন্ধু তারে নাহি মানি,<br />ছোটবেলার যে জন আজও <br /> যায়নি ভুলে বন্ধু বলে তারে জানি। <br /> </p>
<br /><p> শঙ্কর রুদ্র<br /> ১১-২৭-২০২০<br /> নয়ডা</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/sahar-gilechegaan/শহর গিলেছে গাঁ 2020-09-08T17:37:31-04:002023-06-26T14:03:19-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>শহর গিলেছে গাঁ </p>
<br /><p>হুই যে হোতা বাঁশের ঝাড়ে, <br />থোকা থোকা জোনাক জ্বলে,<br />তারই ধারে পুকুর পাড়ে ছেল মোদের ঘর।<br />সনঝা কালে না ঘুমলে, <br />ঠাম্মী বলতো, পান নে গালে <br />তেনারা সব আসবে ধেয়ে, ক্যাঁতায় ঢুকে পড়।<br />পাঠশালাতে যাবার কালে, <br />পথের ধুলো মাথায় গালে<br />রতন কামাল সবাই মিলে, করতাম হই চই।<br />গুরুমশাই ছড়ি নেড়ে, <br />কেলাসঘরে এলে পরে,<br />চোখ পাকিয়ে ব্যুলে দিতেন, কোতায় তোদের বই।<br />বাদলা দিনে চালের পরে, <br />ঝম-ঝমা-ঝম বৃষ্টি ঝরে<br />ব্যাঙগুলা ঐ নালার ধারে এক সুরে গায় গান।<br />করিমচাচা অশত্থতলে, <br />টুনটুনাটা নাচিয়ে কোলে<br />সকাল সনঝে আপনমনে, গাইত শ্যামের গান।<br />রফিক মিঞা ধানের খ্যাতে, <br />লাঙ্গল চষে দিনের পাতে<br />মুড়িমুড়কি ধামায় ভরে করতেন জলপান।<br />রথের মাঠে ঈদ নামাজে, <br />কিংবা দোলে, পুজোর সাজে<br />একই সাথে খেলাধুলা, একই সাথে লাচ গান।<br />করবো বুইল্যে লিখাপড়া <br />শওরে এল্যাম গাঁটি ছেইড়্যা <br />ছাড়তে হল্য গাঁয়ের ভিটে, নদীর জলে স্নান।<br />হেথায় শুধু ইট জঙ্গল, <br />পথে ছুটে গাড়ির ঢল, <br />ছুটছে মানুষ ভর দিন রাত, একটুস নেই প্রাণ।<br />পাঁচটি বছর কাটিয়ে শেষে <br />এলুম ফিরে নিজের দ্যাশে।<br />দেখি, গাঁ-টো হারাইন গ্যেছে, কোথায় সাধের গ্রাম!<br />নেই সে পুকুর, বাঁশের বন, <br />অশথতলা, নদীর ঝাঁপান<br />রফিক, কামাল, করিম চাচার যায় না শুনা নাম।<br />পায় লাগে না পথের ধুলা, <br />ধানের খ্যাত হারাইন গেলা,<br />পাঠশালাটোর জমির পরে চিমনি ধোঁয়া ছাড়ে<br />রথের মাঠে মস্ত দেয়াল <br />রাত হলে ডাকে না শেয়াল<br />শিবুমাষ্টার আনাজ বেচেন বসে পথের ধারে।<br />খেলার মাঠে মস্ত বাজার, <br />দুধারে গাড়ি, বাড়ির সার<br />অশত্থ তলায় শ্যাম নাই, দেকি মন্দিরে হনুমান।<br />টুনটুনা কেউ নেয় না হাতে <br />সকাল, বিকেল, সনঝ্যা, রাতে<br />যায় না শোনা রাধাকৃষ্ণের দোল ঝুলনের গান।<br />নাই সে গোলা, ধানের খ্যাত, <br />নাই গোয়াল, নাই জমি-জিরেত।<br />ফ্যালাট ঘরে বিজলী বাতি, নাই ছাগলের ছা।<br />নাই সে উঠান, নাই সে দাওয়া, <br />কুঁড়েঘর নাই বিচালি ছাওয়া<br />ঠাম্মী বলেন, পোড়ার শহর গিলে খেয়েছে গাঁ।</p>
<br /><p>শঙ্কর রুদ্র <br />২৫-০৮-২০২০<br />নয়ডা</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/cloud-and-the-boy/মেঘ ও বালক2020-08-30T14:31:41-04:002023-06-26T14:03:10-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>ওগো কোথা যাও, একটু দাঁড়াও, দুটো কথা কয়ে যাও।<br />কেমন তোমরা উড়ে চলে যাও, দূর থেকে দূরে,<br />গ্রাম শহর ছেড়ে পাহাড় নদী বন পার করে,<br />ডানা নেই তবু উড়তে থাকো সবাই মিলে।<br />আমায় উড়তে শেখাবে তোমরা, নেবে তোমাদের দলে।<br />আমি যে কোথাও যেতে পারিনে, আমি যে হাঁটতে পারিনে।<br />যখন মা ছিলেন, বাইরে নিয়ে যেতেন,<br />কোথায় যে মা চলে গেলেন, আর এলে না।<br />ওই যেখানে মাঠের পরে আকাশ গেছে নেমে,<br />ওই পাহাড়ের পিছনে, যেথা রামধনু যায় থেমে,<br />সেখানেতে আছে আমার প্রিয় সখা।<br />আসবো বলে গেলে চলে ফেলে আমায় একা।<br />তাকে বলে দিও, বসে আছি তার পথ চেয়ে।<br />বলেছিল গল্প বলবে, পরীর দেশে যাবে আমায় নিয়ে।<br />তোমরা জানো, পরীর দেশটা কোথায়,<br />আমায় তোমরা যাবে গো নিয়ে সেথায়।<br />সোনার কাঠি ছুঁয়ে আমায় করে দেবে ভালো,<br />ওগো মেয়েরা আমায় তোমরা সেথায় নিয়ে চলো।<br />সারাদিন এই জানালা ধারে বসি,<br />দেখি তোমরা যাচ্ছ হাওয়ায় ভাসি।<br />সন্ধ্যা হলে পিদিম জ্বেলে ঘরে,<br />মাসী বলেন শুয়ে পরো এইবারে।<br />আমায় তোমরা নাও সাথে কোরে,<br />দুটো কথা না হয় গেলে কয়ে।<br />থমকে দাঁড়ায় মেঘ বালিকার দল,<br />হারিয়ে গেছে হাসির সে কলকল,<br />চলেছি মোরা অজানারেই পথে,<br />কালো মেঘের দল রয়েছেন সাথে, <br />হাওয়ায় ভেসে চলছি সক্কলে,<br />গল্প করার সময় কোথা মেলে।<br />গালের পরে বুলিয়ে দিয়ে হাত,<br />বললে মেয়ে ভালোবাসাটা থাক,<br />ফেরার পথে গল্প হবে অনেক,<br />তোমার সাথে থাকব সময় খানেক।<br />পথের পানে রইল চেয়ে ছেলে,<br />মেঘ বালিকা গেল হাওয়ায় বেয়ে।<br />মাসের শেষে ফিরল নূতন বেশে,<br />থমকে গেল জানালা পাশে এসে।<br />বিছানাটা আছে আগের মতন,<br />পিদিম জ্বলে যেমন ছিল তখন,<br />হাওয়ার দোলায় শূন্য আসন দোলে,<br />সবই আছে কেবল নেই সে ছেলে।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/matri-smarane/মাতৃ স্মরণে2020-08-20T16:36:55-04:002023-06-26T14:03:12-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>মাতৃ স্মরণে</p>
<br /><p>কালকে তুমি প্রধান ছিলে, আজকে তুমি ছবি।<br />তোমার ডাকে যেতাম ছুটে, এখন শুধুই ভাবি।।<br />নিজের দেহের অংশ দিয়ে করলে ধারণ যারে।<br />দুখের মাঝে সাহস দিয়ে এগিয়ে নিলে তারে।।<br />চাওনি কিছু পাওনি কিছু, বিলিয়ে গেছো সদা।<br />তোমার স্নেহে, ভালোবাসায় সব পরেছে বাঁধা।।<br />হয়তো তুমি পাওনি তোমার উচিত মূল্য খানি।<br />এখন অনুভবি যে মা সবার থেকে দামী ।।<br />হাসিমুখে দুখের গরল করলে তুমি পান।<br />বিদায় কালে নয়ন দু'খান করে গেলে দান।।<br />নিজের দুঃখ দাওনি বুঝতে একটি ক্ষণের তরে।<br />চিরতরে বিদায় নিলে জীবন শূন্য করে।।<br />কালকে তুমি সচল ছিলে, আজকে তুমি ছবি।<br />শূন্য ঘরে একলা বসে তোমার কথাই ভাবি।।</p>
<br /><p> ০৮-০৮-২০২০<br /> নয়ডা</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/bhuter-biye/ভুতের বিয়ে2019-11-21T06:34:26-05:002023-06-26T19:18:29-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>পেত্নী-বুড়ির সুন্দরী মেয়ে শাঁকচুন্নির বিয়ে<br />স্কন্ধকাটা মত দিয়েছে এতদিনে গিয়ে।<br />চৈত্র মাসের অমাবস্যা ত্রয়-স্পর্শ তায়<br />এটাই শুভদিন হলো বেহ্মদত্যির রায়।<br />একপাদা নিতবর আর মেছুনী নিতকনে<br />বেহ্মদত্যি পুরুত হবেন সবাই রেখো মনে।<br />শেওড়া তলায় ছাদনাতলা বাঁশ পাতারই সাজ,<br />এসব দেখে শাঁকচুন্নির পাচ্ছে ভারি লাজ।<br />কন্যা গেল সাজতে এখন লয়ে সখীর দলে,<br />সারা অঙ্গে পাঁক মাখে আর গোবর ঘসে গালে।<br />মাথায় গোঁজে কাকের পালক, গলায় হাড়ের মালা,<br />সাদা শাড়ী পড়ে কন্যা, হাতে হাড়ের বালা।<br />ভুত-বুকেতে খবর দিল মোটা টেকো ভুতে,<br />শেওরাতলায় ভিড় জমাল দেশ-বিদেশের ভুতে।<br />কেউ মোটা কেউ রোগা আবার কেউ বেঁটে কেউ ঢ্যাঙা<br />কারোর মাথায় লম্বা টিকি, কেউ বা আবার ন্যাড়া।<br />হরেক রকম ভুতের দেখি হরেক রকম সাজ<br />কেউ বা কানা, কান কাটা কেউ, ভুতের মেলা আজ।<br />বেহ্মদত্যি দিচ্ছে বিয়ে নিমগাছেতে বসে<br />মুণ্ডু-হাতে স্কন্ধকাটা শাকীর পাশে বসে।<br />খাওয়া দাওয়া কেমন সেটা চলো দেখে আসি,<br />দালটা খুবই টাটকা কেবল পনেরো দিনের বাসি।<br />আরশোলারই ঠ্যাং আর আছে ব্যাঙ ভাজা<br />গেঁড়ি-গুগলির ঝোলের সাথে মাছ পোরা সব তাজা।<br />মাছের কাঁটার ঝালের শেষে আছে কেঁচোর চাটনি,<br />নানান রকম খাওয়ার আছে কোন কিছুই বাদ নেই।<br />বর-কন্যায় আশীর্বাদে ছুড়ছে হারের কুঁচি<br />এই ফাঁকেতে পালাই আমি প্রাণটা নিয়ে বাঁচি।।</p>
<br /><p>শঙ্কর রুদ্র<br />২০-১১-২০১৯<br />নয়ডা</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/shatoborshe/শতবর্ষে2019-11-07T15:49:11-05:002023-06-26T14:03:19-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>শতবর্ষে<br />আকাশ ঘিরেছে বিষাক্ত ধোঁয়া<br />দিনেতে নেমেছে আঁধার রাত।<br />বাতাসে উড়ছে বারুদের গন্ধ<br />মাটিতে শুকনো রক্তের দাগ।<br />গাছেতে ঝুলছে কৃষকের দেহ,<br />শতচ্ছিন্ন শ্রমিকের দেহ ঠুকরে খায় কাক।<br />নারীদেহ ছিঁড়ে খায় ভণ্ডের দল,<br />শিশুতে কুকুরে চলে রুটির লড়াই।<br />জন হেনরি, উঠুক গর্জে হাতের হাতুড়ী।<br />ধ্বনিত হোক- পুঁজিবাদ নিপাত যাক।<br />সাম্রাজ্যবাদের লাশের উপড়ে<br />মেহনতি মানুষের হোক জয়।<br />শ্রমিক-কৃষকের মুষ্টিবদ্ধ হাত উঠুক জেগে,<br />ত্রিভুবনে উঠুক আওয়াজ- ইনকিলাব জিন্দাবাদ।।</p>
<br /><p>শঙ্কর রুদ্র <br />৫-১১-২০১৯<br />নয়ডা</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/banshi/বাঁশি 2019-06-12T01:19:42-04:002023-06-26T14:03:08-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>বাঁশী <br />শঙ্কর রুদ্র </p>
<br /><p>শূন্য তোমার পুণ্য হৃদয় <br />তাইতো ওঠে সুর <br />হাওয়ায় দোলে সুরের নাচন <br />তাই এতো মধুর। <br />শুষ্ক তুমি দীর্ঘ দেহী <br />সপ্ত ছিদ্র ধারী । <br />তোমার নামে রাখাল রাজা <br />হলো মুরলিধারী। <br />ননীচোরার অতি প্রিয় <br />শোনাও প্রেমের ধ্বনি <br />তোমার সুরে পাগল হলো <br />সহস্র গোপিনী। <br />মধুর বাঁশী জানি তুমি <br />বাঁশের বংশ জাত <br />তোমার পরে সুরের পাগল <br />করলো মাথা নত॥</p>
<br /><p>নবগ্রাম <br />5/6/19</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/dugdugi/ডুগিডুগি 2019-06-03T11:29:20-04:002023-06-26T14:03:10-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>ডুগডুগিটা তোমার হাতে বাজাও তুমি জোরে, <br />বাঁদর নাচন নাচাও তুমি সকল সন্তানেরে।<br />নাচছে তোমার ছেলে-মেয়েরা, নাচছে নাতি নাতনি<br />মিটি মিটি হাসছ তবু চোখ টি খুলে চাওনি।।<br />মাতৃত্বের রশি ধর স্নেহের চাবুক হাতে<br />ভালোবাসার সুখের অশ্রু তোমার নয়ন পাতে।<br />সবার মনে দুঃখ ভারি সুস্থ দেখতে চায়,<br />ভাবছ তুমি, বয়েই গেল আমার কি বা দায়।।<br />দিব্বি ছিলাম খোস মেজাজে খাটের পরে শুয়ে, <br />সবাই বলে একটু হাঁটো লাঠি হাতে লয়ে।<br />এবার বোঝো কেমন মজা শুয়ে পড়েছি আমি,<br />ঘুমব আর খাব শুয়ে নাচবে এবার তুমি।।<br />ডুগ ডুগ ডুগ ডুগডুগিটা যেই না দিলে নেরে<br />বৌ, ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনির মনটা উঠল নড়ে।<br />মনে মনে হাসলে তুমি কেমন দিলাম ফাঁকি,<br />প্রভু আমায় ডাক দিয়েছেন আর কি আমি থাকি।।</p>
<br /><p>শঙ্কর রুদ্র</p>
<br /><p>৩০-০৫-২০১৯</p>
<br /><p>নয়ডা</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/rani/রাণী 2018-10-25T14:04:55-04:002023-07-26T02:48:43-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>সাত সমুদ্রপাড়ি দিয়ে স্বপার্ষদ তুমি এলে। <br />চোখে তোমার নবপ্রজন্মের স্বপ্ন। <br />রূপসী সুন্দরী তুমি, অপরূপা অনন্যা। <br />তুমি রাণী, সকলের অতি প্রিয়। <br />তোমার ওই রূপের জৌলস<br />মায়াবী দুটি চোখ, পেলব শরীর।<br />হিল্লোল তোলে লোভী মানুষের মনে ।<br />বাঁধা পড়লে লালসার ধাতব জালে, <br />ক্রুর শিকারীর শিকার হলে তুমি। <br />মাতৃ জঠরে মৃত্যু হল অজন্মা তোমার সন্তানের।<br />ভ্রূণ হত্যায় এদের হয়না কোন অপরাধ।<br />তোমার ক্রন্দন খুশির ছোঁয়া এনেদিলো মানুষের মনে। <br />তোমার মৃত্যুতে আনন্দের লহর উঠে মানব সমাজে। <br />তোমার নামে হয় উৎসব, <br />সকলে উপভোগ করে তোমার সুন্দর শরীর। <br />কখনো ভাজা বা ঝোলে বা সর্ষে ঝালে। <br />তুমি রূপসী, রাণী, তুমি ইলিশ ॥</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/bhanumotir-khela/ভানুমতির খেলা2018-05-24T16:10:43-04:002023-06-26T14:03:08-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>হিং টিং ছট্, ফট ফটা ফট ভানুমতির খেল।<br />কোথায় যেন হারিয়ে গেল কু ঝিক্ ঝিক্ রেল।।<br />কয়লা খেয়ে পেটে আগুন ধোঁয়ায় ভরা শির।<br />হারিয়ে গেছে দৌড়ে চলা দানবীয় সেই বীর।।<br />হারিয়ে গেছে কুমোর পারা, হারালো গরুর গাড়ী।<br />কন্যা এখন পাল্কী চড়ে যায়না শ্বশুর বাড়ি।।<br />ছিপখানি আর রয়না বাঁধা ঐ যে নদীর ঘাটে।<br />ময়রা মুদি চোক্ষু মুদি ঢোলে না তার পাটে।<br />যায়না শোনা হুন হুনা আর কোথায় গেল টোকা।<br />হারিয়ে গেছে মেঠো পথে সেই সে ন্যাংটো খোকা।।<br />হারিয়ে গেছে ডাংগুলি আর পিট্টু কাঞ্ছা খেলা,<br />হারিয়ে গেছে ছু কিৎকিৎ, রান্না-বাটির মেলা।।<br />মাষ্টারের ঐ তেল মাখা বেত কেউ রেখেছে তুলে,<br />গুরুজনের চরণ ছোঁয়া তাও গিয়েছি ভুলে।।<br />হারিয়ে গেছে খেলার মাঠের কচিকাচার দল।<br />শিশুরা সব মোবাইল হাতে নেই তো কোলাহল।। <br />হারিয়ে গেলো গল্পদাদু ঠাকুরমায়ের ঝুলি।<br />আকাশবাণীর প্রভাতী সুর তাও গিয়াছি ভুলি।। <br />হারিয়ে গেছে রাখাল রাজার মিষ্টি বাঁশীর তান।<br />মনের সুখে ঝুপুর ঝাপুর পুকুর জলে স্নান।।<br />হারিয়ে গেছে মাঠ – পুকুর নেইতো বাঁশের ঝাড়। <br />বাউল বাতাস ধানের ক্ষেতে দেয় না দোলা আর।।<br />হারিয়ে গেল পত্রলেখা হারালো কোলাকূলি।<br />হারিয়ে গেলো পৌষ-পার্বন পায়েস পিঠে পুলী।।<br />হুস্ মন্তর গিলি গিলি ফুঁ একের মধ্যে তিন,<br />এক লহমায় বদলেছে যুগ এসেছে নতুন দিন।। <br />মা-বাপ থাকেন বৃদ্ধাশ্রমে শিশুরা ভাড়ার ঘরে। <br />টাকার পিছে স্বামী - স্ত্রী তে কেবল দৌড়ে মরে।। <br />বললে সবাই সে দিন গেছে সময় বদলে গেছে।<br />এখন কি ভাই ফলছে কাঁঠাল পাতিনেবুর গাছে!<br />একেই নাকি প্রগতি কয় এই নাকি উন্নতি,<br />কম্পুটার আর মোবাইল ছাড়া আজকে তো নাই গতি।।<br />সংকৃতির ক্যাঁথায় আগুন খাবো কি তাই ধুয়ে, <br />থাকলে টাকা সংকৃতি আপনি আসবে ধেয়ে।।<br />নববর্ষ – বিজয়াতে হয়না দেখা আর<br />মোবাইলেতে পাঠায় সবাই প্রভাতী নমস্কার।।<br />হাকুম মাকুম ঝিংড়ি পোঁ পোঁ জাদুকরের মেলা।<br />বুঝলে এবার এ সব হলো ভানুমতির খেলা।।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/the-futility-of-peace/শান্তির বৃথা বাণী2018-04-04T19:44:26-04:002023-06-26T14:03:20-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>বুদ্ধ শোনালে শান্তির বাণী, আমরা আজিকে কেহ নাহি মানি,<br />চারিদিকে দেখি রক্তগঙ্গা, জাতি-ধর্মের নামেতে দাঙ্গা।<br />অর্থে মাপিছে প্রাণের মূল্য দেশের মহান নেতা।<br />বুদ্ধ তোমার শান্তির বাণী আজিকে হোলো যে বৃথা।।<br />যুদ্ধ বিনে শান্তি চাই বলিছে সকল দেশ<br />শ্বাপদের দল ধরিছে কেবল ভন্ড ঋষির বেশ।।<br />ভাইয়ে রক্তে খেলিতেছে হোলী, মুখেতে রয়েছে ধর্মের বুলি।<br />অস্ত্র যুদ্ধে মেতেছে সকলে, মনেতে নাহিকো লাজ। <br />কাহারে বুদ্ধ শোনাইবে তুমি শান্তির বাণী আজ।।<br />নারীর লজ্জ্বা লুটিতেছে সাধু, ক্ষুধায় কাঁদিছে নবজাত শিশু<br />মাতার অশ্রু গিয়াছে শুকায়ে দেহেতে শক্তি নাই।<br />পরমানু আর মঙ্গলযান আজিকে মোদের চাই।।<br />ক্ষুধাতুর শিশু কেঁদে বল মাকে চলো মন্দিরে যাই,<br />কৃপা যদি করে পাশান ঠাকুর দুমুঠো অন্ন পাই।<br />মাতা কণ ওরে চুপ হতভাগা কেমনে সেখানে যাবো,<br />গরীব আমরা, তায় নীচু জাত অনুমতি নাহি পাবো।<br />ক্ষুধাতুর শিশু জানেনাতো জাত, ধনী গরিবের পরেনাই পাঠ।<br />কেঁদে কয় তবে সবে কেনো বলে মোরা মানুষ জাত,<br />গরীবেরে কেনো ক্ষুধা দেন প্রভূ কেনো এতো অপবাদ।।<br />আজিকে সমাজ ভুলিয়াছে প্রেম, হারায়েছে সব লাজ। <br />বুদ্ধ তোমার শান্তির বানী বৃথা হোলো দেখি আজ।</p>
<br /><p>শঙ্কর রুদ্র<br />৫-৪-২০১৮ <br />নয়ডা</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/kumro-ful/কুমড়ো ফুল 2017-07-02T13:32:14-04:002023-06-26T14:03:12-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>কুমড়ো ফুল কুমড়ো ফুল <br />সবুজ লতায় সোনার দুল।<br />চলছে হাওয়া উড়ছে ধুল<br />কিশোরী মেয়ের মন আকুল।<br />অপার হাওয়ায় দুলছে ফুল <br />রূপসী মেয়ের এলো চুল ।<br />জমলো মেঘ নামল জল <br />যুবতী মেয়ের মন দোদুল।<br />নামলো আঁধার শুকনো ফুল <br />ভাঙ্গলো মেয়ের মনের ভুল।<br />ক্ষণিক রূপসী তুমি অতুল <br />হলুদ ফুল কুমড়ো ফুল ॥</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/post20170320012932/রিস্কাওয়ালা2017-03-20T13:30:35-04:002023-06-26T14:03:17-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>শীতের রাতে তাকে দেখেছি <br />রিকশার মাঝে থাকতো শুয়ে।<br />গরমে অশ্বত্থতলায় থাকতো দাঁড়িয়ে।<br />শিশুদের তুলেদিতো আপনজনের হাতে,<br />জলের বোতল বইয়ের বোঝা থাকতো তাঁর কাঁধে।<br />দেখেছি কখনো স্টেশনে কখনো বাজারে,<br />মুখে থাকতো নির্মল হাসি।</p>
<br /><p>একদিন বল্লাম - নাম কি রে তোর?<br />হেঁসে জবাব দিলে - হামী ভীরু আছে ।<br />এলি কোত্থেকে, রিকশা টানিস কেনে।<br />বল্লে সে - হুজুর হামার ভী ঘর ছিল, পরিবার, ছাওয়াল, ক্ষেত, কাম ভী ছিল।<br />সেবার নদীতে পানি এলো, বাঁধ টুটে গেলো।<br />সবকুছ ভেসে গেলো, হামি হারিয়ে গেলো।<br />ওই রেলবাবু, পাকড়াও করলো, একটা রিস্কা দিলো।<br />হামী হয়েগেলো রিস্কাওয়ালা।</p>
<br /><p>ভীড় ঠেলে এগিয়ে দেখি,<br />একটা ভাঙ্গা রিকশা - পাশে লাল ধারা<br />পড়েআছে নিথর দেহ।<br />আবার হারিয়ে গেল - ভীরু নয় রিস্কাওয়ালা॥<br /> <br /> শঙ্কর রুদ্র <br /> ১০-০৩-২০১৭<br /> গুরগাঁও</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/prashno/প্রশ্ন2017-03-11T00:49:39-05:002023-06-26T14:03:17-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>আমি যদি হতেম মাগো দূর আকাশের পাখি –<br />মেঘের হাতে পরিয়ে দিতেম ভালোবাসার রাখি। <br />ভোরের আলোয় আমার গানে জেগে উঠতে তুমি – <br />সাঁজবেলাতে যেতাম উড়ে তোমার কাছে আমি।<br />আমি যদি হতেম মাগো দক্ষিণা বাতাস- <br />ছুটে যেতাম তোমার কাছে লয়ে মনে আশ- <br />লুটিয়ে যখন যেতাম আমি তোমার দুটি পায়ে – <br />বুলিয়ে দিতে স্নেহের দুহাত আমার মাথায় – গায়ে? <br />বাদল কালো মেঘ হয়ে মা যদি উড়ে যাই আমি,<br />হৃদয় ভাঙা কান্না হয়ে যেতাম যখন নামি।<br />ভিজিয়ে দিতাম তোমার দু-কোল পেয়ে আমার মা কে<br />তখন কি মা চিনতে আমায় জড়িয়ে নিতে বুকে?<br />আমি যদি হতেম মাগো সন্ধ্যাদীপের শিখা<br />জন্ম-মৃত্যু তোমার হাতে নিত্য পেতাম দেখা।<br />যদি আমি হতেম মাগো রাঙা জবা ফুল –<br />ফুলের দলে হারিয়ে যেতাম করতে তুমি ভুল।<br />সাজিয়ে দিতে মায়ের পায়ে নিত্য পূজার ছলে,<br />পূজার শেষে দিতে ফেলে ঝরা ফুলের দলে।<br />আমায় তখন একটি বার ও চিনতে নাকি তুমি,<br />এঁকে দিতে ললাটে মোর স্নেহের চিহ্ন “চুমি”?<br />শঙ্কর রুদ্র <br />নভেম্বর ২০১৩ <br />জম্মু</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/anutap/অনুতাপ2017-03-09T04:22:11-05:002023-06-26T14:03:07-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>অনুতাপ<br />জন্মমাত্র শূন্যে দুহাত তুলে <br />নিজ আগমন বার্তা ঘোষণা কালে <br />প্রসবযাতনার মাঝে হাসিমুখে চোখের জলে স্নেহময়ী তোমায় প্রথম দেখি - মা।<br />সন্তানের মুখে তুলে দিয়েছিলে <br />আপন শরীরের অমৃতধারা।<br />করেছিলে ধন্য তোমার আপনার অংশকে।<br />সংসারের চাকার ঘূর্ণিতে, <br />নবজাতকেরে পীঠে বেঁধে <br />পাথর ভাঙ্গতে হয়নি কোন দ্বিধা।<br />নিজে অভুক্ত থেকেও সন্তানেরে দিয়েছো বেঁচে থাকার অন্য ।<br />অন্ধকার ঘরে কুপির আলোতে সন্তানেরে দিয়েছো শিক্ষার ব্রত।<br />করেছো তারে রক্ষা সকল সামাজিক শ্বাপদকুল থেকে।<br />আচ্ছা মা মনেপড়ে, যেদিন প্রথম শিক্ষক দিলেন আমার সাফল্যের সংবাদ।<br />বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠেছিলে তুমি<br />দুঃখে নয় আনন্দে।<br />কুলুন্গীতে অদেখা ঈশ্বরের নামে তুলে রেখেছিলে <br />একটা টাকা।<br />জানো মা, টাকাটা এখন আছে, তোমার সন্তানের ভগবানের নামে।<br />সন্তানের সুখের তরে নিজেকে করেছ নিঃশেষ সারাজীবন ধরে।<br />দিয়েছ তাকে মানুষ হবার শিক্ষা।<br />যখন প্রথম উপার্জন করল তোমার সোনার চাঁদ, সকলেরে বলেছিলে তোমার সন্তানের কথা, দেখেছিলে সুখের মুখ দেখার স্বপ্ন।<br />জানো মা, তোমার সন্তানের আছে তাঁর অর্থ, খাওয়া পড়ায় আজ সে স্বচ্ছল। <br />আছে ঘরে পরিবার সন্তান।<br />তোমার স্থান আজ সমবয়সী মানুষের সাথে বৃদ্ধাশ্রমে। <br />যেন সন্তানেরে বুড়োআঙ্গুল দেখিয়ে তিরস্কার করে বলে, আমার ঠাঁই আছে। আমারে হারাতে গিয়ে খোকা তুই হেরে গেলি।<br />আঁধার রাতে নদীর ধারে লোকচক্ষুর অন্তরালে দাঁড়িয়ে অদেখা বিধাতার দিকে মেলেধরে হাত।<br />মুঠি গিয়েছে খুলে, চেঁচিয়ে উঠে বলে,<br />"পারিনি তোমারে দিতে স্নেহের মূল্য, তোমার সন্তানের আজ বড় অভাব।" <br />নদীর জোয়ারের জলে মিশে যায় চোখের জল ।<br />ওপার থেকে ভেসে আসে "আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"।<br />শংকর রুদ্র <br />নেতাজী সুভাষ বিমানবন্দর <br />৫ - ৩ - ২০১৭</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/poem20140307082146/অমরপ্রীয়া2014-03-07T08:22:19-05:002023-06-26T14:03:17-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>স্পর্শে আকুল আমার অবুঝ মন, <br />সারাদিনরাত একেলা ঘরেতে পুড়ে –<br />দীপশিখা জ্বেলে যৌবন দ্বারে এসে<br />তুমি আছো শুধু মোর তনুমন জুড়ে।<br />ঝড়ে পড়ে দেখি মুঠো মুঠো বেলকুঁড়ি<br />দূর গগনেতে জমেছে অন্ধকার,<br />অভাগা একাকি হতাশ শিবিকা বয়ে<br />বসে থাকি আজ পথ চেয়ে দূরাশার।<br />পাপ-পূণ্যের হিসাব নাহিকো জানি,<br />জেনেছি শুধুই তুমি অমরপ্রীয়া – <br />তোমার নামেতে শান্তি আমার চির<br />বার্তা বয়ে আনে আকুল হিয়া।<br />জীবনের শেষ রক্তরশ্মি এঁকে<br />তপন যখন গিয়েছে অস্তাচলে,<br />তোমারে তখন দেখেছিনু আমি – হায়!<br />সিঁন্দুর রাঙা তোমার অবুঝ ভালে।<br />মেঘমল্লার রাগিণী যখন বাজে<br />সুগভীর সুরে শ্রাবনের বরষায় – <br />বিরহি চাতক কাননের মাঝে কাঁদে<br />সাথে কাঁদে প্রীয়া একাকিনী শয্যায়।<br />বর্ষামুখর রাত্রির শেষে তাই<br />বিরহি গুমরি মরে আজ মোর মনে –<br />সুদুর আকাশে ঝরে পড়ে কত তারা<br />বাউল বাতাস প্রীয়ার খবর আনে।<br />ফুল ঝরানো রাত্রির শেষে তাই<br />ফুলঝুড়ি সব পুড়ে গেছে অবশেষে,<br />হৃদয়ে আমার দাবানল অবিরাম<br />রাশি রাশি জ্বলে প্রীয়ারেই ভালোবেসে<br />ভালোবাসা তাই মিছে আজ মোর কাছে<br />আমার জীবনে খুঁজি যে অন্য মানে – <br />সব সাধ আশা দিয়াছি জলাঞ্জলি –<br />আমি চলি আজ দূর বিদিশার পানে।<br /> শঙ্কর রুদ্র</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/poem20140129101403/এরা আজও আছে2014-01-29T10:15:42-05:002023-06-26T14:03:15-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>এরা আজও ভালোবাসে <br />চেয়ে থাকে পরস্পরের পথের পানে, <br />এরা করে স্মৃতি রোমন্থন <br />মনের কথা কয়েছে সঙ্গোপনে।<br />এরা জানে প্রেম চিরসুন্দর, প্রেম অমর – শ্বাশ্বত।<br />এরা আজও ভালোবাসে- <br />ভালোবাসার স্বপ্ন মাঝে বেঁচে থাকে।।<br />সারাদিন মিলের চাকার সাথে চলে যুদ্ধ<br />জীর্ণ কুঠীরে স্বল্প আলোয় শির্ণ হাতে<br />শুকনো রুটি করে চিন্তা-সুদুরে থাকা প্রেমিকের কথা।<br />কর্মক্লান্ত শরীর কামনা করে প্রীয়ার উষ্ণ স্পর্শ।।<br />মদ্যপ স্বামীর হাতে মার খেয়েও এরা হাসে।<br />ঘরে রূগ্ন ছেলে ক্ষুধার জ্বালায় ওঠে কঁকিয়ে,<br />তবু এরা করে স্মৃতি রোমন্থন।।<br />এরা বেঁচে থাকে পরস্পরের ভালোবাসায়।<br />ভালবাসা এদের করেছে সুন্দর।।<br />এরা ভালবাসার নামে জানেনা প্রতারনা-<br />আঁধার রাতে – অভিজাত হোটলে অর্থমূল্যে বেচেনা ভালোবাসা। <br />এরা ভালোবাসে মানুষকে –তার মন হৃদয়কে।<br />রাতের আঁধার কেটে আসে নব প্রভাত।<br />কলের চাকা দেয় ডাক – সারাদিন চলে কর্মকান্ড।<br />কর্মমাঝে প্রীয়জনের দর্শণ এনে দেয় নতুন জীবন।<br />এরা আজও আছে – ভালোবাসা এদের রেখেছে বাঁচিয়ে, <br />প্রেম চিরসুন্দর, প্রেম অমর – শ্বাশ্বত।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/poem20140123044909/ছবি – শুধু ছবি2014-01-23T04:49:49-05:002023-06-26T14:03:15-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>বহুবছর আগের দেখা – তখন সে ছিল ডালিম কুমার।</p>
<br /><p>হঠাৎ দেখা হয়ে যায় এক মজলিসে – <br />পরনে তার গরদের পাঞ্জাবী, <br />কালোবাক্সের মাঝে ক্যামেরা ঝুলছে তার গলায়।<br />চিনতে পারিনি তাকে – <br />এগিয়ে এসে দিলে পরিচয়।<br />নাম শুনে উঠলুম চমকে।</p>
<br /><p>মনে পড়ে পুরানো দিনের কথা- <br />শিল্পী হিসাবে এসেছিলেম কাছে। <br />পুরস্কার গ্রহণকালে সে দিলে এক লাল গোলাপ। <br />খ্যাতি আর ব্যাস্ততার ভিরে হারিয়ে গেল সে<br />নাম না জানা অগনিত ভক্তের দলে।</p>
<br /><p>দশ বছর বাদে পেলেম তার দেখা।<br />হেঁসে জবাব দিলেম - কেমন আছো।<br />আধপাকা দাঁড়িতে হাত বুলিয়ে বললে-<br />একটু দাঁড়াও- সময় গিয়েছে চলে – <br />তবু অসময়ের সময়কে দেবো না যেতে।<br />কিছু বোঝার আগেই এক ঝলক আলো।<br />আবার গেলো সে হারিয়ে।</p>
<br /><p>কাগজে দেখলাম সেরা চিত্রকরের নাম।<br />পত্রবাহক দিয়ে যায় এক রঙিন খাম,<br />ছবি – শুধু একটা ছবি।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/poem20140108015803/হরতাল2014-01-08T02:09:37-05:002023-06-26T14:03:15-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>আজ বন্ধ, বাংলা বন্ধ, ভারত বন্ধ, সব বন্ধ।<br />বাজার বন্ধ,কাজ বন্ধ, স্কুল-কলেজ-অফিস বন্ধ।<br />বাস বন্ধ, ট্রাম বন্ধ, মিনি –ট্যাক্সী তাও বন্ধ।<br />কলের চাকা ঘুরবে না, চিমণী ধোঁয়া ছারবে না।<br />শ্রমিকের হাত চলবে না, ট্রেনের চাকাও ঘুরবে না।<br />আজকে শুধু একটা কথা – বাংলা বন্ধ, ভারত বন্ধ।<br />মোড়ের মাথায় বেকারের আড্ডা,চায়ের কাপেতে উঠেছে ঝড়।<br />ঠিক না ভুল এ কাজ – আলোচ্য বিষয় বন্ধ।<br />গলির মাঝে ইঁটের উইকেটে ক্রিকেট খেলা,<br />আজকে ছুটি – কারণ বন্ধ।<br />সরকারি বাবু মুখে পান গুঁজে নরম বিছানায় চোখ বোজেন<br />মাসে এমনি বন্ধ আরো হোক।<br />বেসরকারি কেরাণী হেঁটে যায় অফিসে,<br />দেরির জন্যে ধমক দেন বড়বাবু,<br />ইউনিয়ন চোখ রাঙায় – বেটা চামচে।<br />হাসপাতালে ডাক্তার নেই – আজ বন্ধ,<br />মুমুর্সু রূগী চলে যায় মৃত্যুর ওপারে।<br />সেখানে নেই কোনো বন্ধ।<br />নবজাতকের জঠরে জ্বলে ক্ষুদার আগুণ,<br />মুষ্ঠিবদ্ধ মুটি হাত শুণ্যে তুলে করে ওঠে চিৎকার<br />হয়তো জানায় প্রতিবাদ অথবা খোঁজে নিশ্চিত আশ্রয়।<br />রাস্তা দিয়ে চলে যায় রঙিন ঝান্ডার মিছিল।<br />পেছনে চলে পুলিস প্রহরা।<br />শূন্যে হাত ছুড়ে চিৎকার করে<br />‘আমাদের দাবি মানতে হবে’।<br />অর্ধনগ্ন – কঙ্কালসার শিশুটা <br />আস্তাকুরে কুকুরের মুখ থেকে ছিনিয়ে আনে<br />একটুকরো রুটি, চেঁচিয়ে বলে-<br />“আমাদের দাবি মানতে হবে”।<br />পেছনে দৌড়ে চলে ঘেয়ো কুকুর।<br />আজ হরতাল – আজ বন্ধ।</p>
<br /><p>বি দ্রঃ নিজের চোখে দেখা দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/poem20140106023802/খুঁজে পাওয়া2014-01-06T02:39:22-05:002023-06-26T14:03:15-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>সবপেয়েছির দেশে আমি হারিয়ে যেতে চাই।<br />মনিমেলার দলে যদি নিজেরে খুঁজে পাই।।<br />কি বা দিলাম কি বা পেলাম রইল কত বাকি। <br />এসব নিয়ে হিসাব কষে জীবন দেখি ফাঁকি।।<br />শুন্য সাথে শুন্য জুড়ি শুন্য তবু থাকে।<br />এত দিনে জড়িয়ে গেছি সংসারেরই পাঁকে।।<br />মেয়ের বিয়ে, ছেলের চাকরি, বৌয়ের কোমর ব্যাথা।<br />নিজের হাঁটু - চোখের ছানি - যন্ত্র-হৃদের কথা।।<br />শুগার - প্রেসার - কোলস্টরেল সঙ্গে নকল দাঁত।<br />কিডনি বলে আমিও আছি দিচ্ছি তোমার সাথ।।<br />এসব ছেরে যখন আমি হারিয়ে যেতে চাই।<br />দেবস্থানে এসেও মনে শান্তি নাহি পাই।।<br />মন্দিরে নয় মসজিদে নয় নয়কো দেবস্থানে।<br />ঈশ্বর ঐ লুকিয়ে আছেন কিশলয়ের মনে।।<br />নিজেরে আজ নিজের মাঝে খুঁজে পেলাম শেষে।<br />ঠিকানা চাও চলে এসো সবপেয়েছি র দেশে।।<br />শঙ্কর রুদ্র <br />নভেম্বর ২০১৩ <br />জম্মু</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/poem20140104055955/শব্দ2014-01-04T06:01:15-05:002023-06-26T14:03:13-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>তুমি শুনেছো পাতা ঝরার শব্দ,<br />শুনেছো চোখের পলক পড়ার শব্দ,<br />নিস্তব্দ রাতে চাঁদের ডুবে যাওয়ার শব্দ,<br />নব প্রভাতে অরুনোদয়ের শব্দ।<br />ফুরিয়ে যাওয়া রাতের ক্রন্দন<br />তোমায় দিয়েছে শোক।<br />সাগরপারে বালুকাবেলায় <br />বাতাসের অট্টহাসি মনে দিয়েছে দোল।<br />তোমার হরিণচোখের পানে চেয়ে<br />যে মুক মানুষ পেয়েছে সুখ – <br />তুমি পাওনি শুনতে তার হৃদয়ের শব্দ।<br />নিছক খেয়ালের বশে তোমার মুখে খেলেছে <br />এক টুকরো হাসি – সে পেয়েছে আনন্দ।<br />ভালোবেসে দেওয়া তার ছোট্ট ফুলটা<br />অবহেলায় দিলে তুমি ফেলে-<br />চাওনি ফিরে তার দিকে।<br />তাই তো পাওনি শুনতে<br />হৃদয়ের ভেঙে যাওয়ার শব্দ।<br />সাগরের ঢেউ ভাঙার শব্দ ছাপিয়ে গেছে তার হৃদয়ের কান্না,<br />মুক মুখে ফুটে রয়েছে প্রশান্তি। <br />শুনতে পাওনি তার <br />প্রাণের চলে যাওয়ার শব্দ।। <br /> <br />৩১/১০/১৯৯৯<br />সানা, ইয়েমেন।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/poem20131231014557/স্বপ্ন2013-12-31T01:46:42-05:002023-06-26T14:03:13-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>স্বপ্ন, মানুষের বেঁচে থাকার পাথেয়,<br />মানুষ স্বপ্ন দেখে, মনে ভাবে –<br />লোকে বলে, জেগে স্বপ্ন দেখা – সুখ স্বপ্ন।<br />ভোরের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয় – সত্যি কি হয়!<br />ছাত্র স্বপ্ন দেখে উচ্চশিক্ষার – বাবা-মার স্বপ্ন আদর্শ সন্তান।<br />বেকার স্বপ্ন দেখে চাকুরীর- চাকুরীজিবীর স্বপ্ন উন্নতির।<br />ব্যবসায়ী দেখে টাকার স্বপ্ন, নেতার চোখে গদির স্বপ্ন।<br />প্রেমিকের চোখে প্রেমের স্বপ্ন, কবি দেখে খ্যাতির স্বপ্ন।<br />ঋষির চোখে ঈশ্বর প্রাপ্তির স্বপ্ন, ধ্যানি দেখেন মোক্ষের স্বপ্ন।<br />চাষীর চোখে ফসলের স্বপ্ন, গরীব দেখে দুমুঠো অন্যের স্বপ্ন।<br />কারোর স্বপ্ন সত্যি হয়তো হয়, কারোর বা কেবল অলিক স্বপ্ন।<br />আমিও দেখেছিলাম স্বপ্ন- আজ ও হয়নি সত্যি – <br />আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম- <br />হিংসা হীন – দ্বেষ হীন প্রেম ময় জগতের স্বপ্ন।<br />যেখানে নেই কোন ভয়, কোন শক্তির পরীক্ষা,<br />যেখানে আছে পরিমিত সুখ আর অপরিমিত শান্তি-<br />নেই কোন লোভ – ক্রোধ – মোহ, <br />যেখানে শুধু শ্বাশত প্রেম আর চিরশান্তির বাস।<br />পাইনি আজও সে জগতের সন্ধান।<br />জানিনা কখনো সত্যি কি হবে সে স্বপ্ন,<br />নাকি এটা কেবল অলিক স্বপ্ন।।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/poem20131228014201/সৈনিক2013-12-28T13:43:22-05:002023-06-26T14:03:13-04:00শঙ্কর রুদ্র https://www.bangla-kobita.com/subrata128/<p>ফিরে এসেছে লোকটা<br />আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে যুদ্ধে যে গেছিল হারিয়ে।<br />সরকার যার মৃতদেহ করেছে সৎকার, <br />সন্মান জানিয়েছে মরনোত্তর পুরস্কারে।<br />সে এসেছে ফিরে – </p>
<br /><p>দ্বারে আজ জনসমাগম – <br />মানণীয় অতিথীদের গাড়ীর মেলা, <br />উচ্চস্বরে বেজে চলেছে বিদেশী সঙ্গীতের সুর।<br />বিলেত ফেরৎ অফিসারের আজ বিয়ে।<br />যে সে মেয়ে নয়- বিলেতের ইংরাজী জানা বিদেশিণী মেয়ে।<br />বাড়ীতে তাই বিবাহ অনুষ্ঠান নয় – পার্টি।</p>
<br /><p>হাতে হাতে ঘুরছে লাল তরলের গ্লাশ,<br />বাজনার তালে পর-পুরুষের কণ্ঠলগ্না স্বল্পবাস পরিহীতা নারী।<br />এরা সম্ভ্রান্ত – সমাজে মানণীয় – এটাই পার্টি। <br />সাধারনের নেই প্রবেশের অধিকার।</p>
<br /><p>দূর থেকে দেখে – বিধবার বেশে ঘরে বন্দিণী তার স্ত্রী।<br />পীপাসু দুটী চোখ খুঁজে বেড়ায় তার আদরের ছেলেকে।<br />পাঁচ বছরের ছোট্ট খোকন আজ ‘মিষ্টার কন্’। </p>
<br /><p>মদ্যপ ছেলে মাটিতে থাকে লুটিয়ে-<br />স্বল্প বস্ত্রে স্ত্রী তার অন্যের শয্যায়।<br />প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘরে ঢুকে চুরি করে সে,<br />নিয়ে আসে ছোট্ট খোকনের নির্মল ফটো, <br />ছিনিয়ে আনে বন্দিণী স্ত্রীকে।<br />শুরু হয়েছে লড়াই- বেজে উঠেছে দামামা।<br />এ লড়াই বিদেশী শ্ত্রুর সাথে নয়-<br />এ লড়াই সভ্যতার বিকৃত রূপের বিরুদ্ধে – <br />এ লড়াই নিজের অস্তিত্য বাঁচানোর।<br />ফিরে এসেছে সে তাই – সে যে সৈনিক।।</p>@ 2024 - শঙ্কর রুদ্র