কয়না কথা আমার সাথে- আমার বধু সাথী
কয়না কথা মা জননী মমতা রাণী।
কি হয়েছে আমার সেটা- বুঝতে নাহি পারি।
শনির প্রকোপে পড়েছে বোধ হয়- আমার দেহখানি।
তাইতো আমি- মা বধুকে আবোল তাবোল বলি
বলার সময় বুঝিনা অত্তো- বলছি কাকে কি।
কিছু সময় পরে আমি- ভাবি যখন বসে- হায় হায় কাকে কি? বলেছি আজ আমি?
গর্ভধারিনী মাকেও আমি একটুও ছাড়িনি ?


ভাবতে ভাবতে জীবন গেল, ভবিষ্যৎ আর দেনার
ঠিক নেই মাথা আমার- বোঝেনা কেউ আমায়
বাড়ী গেলেই বধু আর মায়- জাপটে ধরে কয়
এ হয়নি ও হলো কেন- জবাব ওদের চাই।
জবাব দিলেই ধরবে টুটি- চেপে বসে গায়।
আমিওতো একটা মানুষ- ছাগল ভেড়াতো ন’ই
তবু কেন জাপটে ধরে- বধু আর মায় ॥


শুনেছি আমি শনির দশায়- পরলে মানুষ হায় !
শেষ করে দেয় জীবনটা তার- করে সে হায় হায়
মা বধু আর বাবা বকে- বকে ছোট ভাই
আমার কি আর হবেনা মৃত্যু- ঈশ্বর ? তুমিই বলে দাও।
শনির প্রকোপ পড়েছে আমার- জীবন নামের ভেলায়
ঈশ্বর আমায় তুলে নিলেই- ওদের ভাল হয়।
বেঁচে যেতাম আমি আর- মা বধু ও ভাই।


কেউ কবেনা কটু কথা- দেয়ালে ছবি ওই
বলবে লোকে মরে গিয়েই- বেঁচে আছে ওই
ক’দিন পরেই মরবো আমি- মরবো অবশ্যই
মরার পরে বুঝবে ঠেলা- মা বধু আর ভাই।


কয়না কথা মা জননী- বধু সাথী রাণী
মরার পরেই বুঝবে তুমি- ছিলাম কতখানি।


(নভেম্বর ২৮, ২০১০)


বিঃদ্রঃ দোকানে কাজ না থাকায় পকেটেও অর্থ ছিলনা। কিছুদিন কর্মচারীদের উপর প্রতিষ্ঠানটি রেখে বাড়ীতে শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছিলাম। বিভিন্ন চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। ওভাবে বসে শুয়ে থাকার দরুন মা, বাপি (বাবা), ভাই ও সহধর্মীনি অনেক কটু কথা বলতো। প্রায় কথায় হজম করে নিতাম কিন্তু ২৮/১১/২০১০ তারিখে এমন কিছু কথা শুনতে হয়েছিল যা অসহনিয় তাই রাগে দুঃখে ও ক্ষোভে জীবনটাকে শেষ করবার ইচ্ছা জাগে মনে। মরতে হলে নাকি পত্র লিখতে হয় তাই কাগজ ও কলম হাতে নিয়ে বসলাম। দু’চার লাইন লিখলামও। হঠাৎ মাথায় কবিতার ভাব উদয় হ’ল। লিখে ফেললাম এ লেখনি। অতঃপর অনেক কিছু চিন্তা করে নিজের জীবনকে বাজী রেখে পথ চলতে শুরু করি ও চলছি। এখন সে অবস্থার তুলনায় বেশ ভাল আছি। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।