দাগা পেলাম মনে-
শ্রদ্ধেয় এক লেখকের লেখনিতে- মন্তব্য করতে গিয়ে
লিখেছেন- ব্যর্থ নাকি তিনি
লিখেছেন ব্যর্থ- ‘ব্যর্থ কবি’।


যখন শুনি এক কবি শুয়ে আছেন- হাসপাতালে
দৌড়ে গিয়ে করি সেবা- অনেকে বলে, এটাকি পাগল নাকি?
স্বার্থ ছাড়া যেখানে কেউ চলেনা-
সেখানে কিনা এই পাগল- পেছনে পেছনে ছুটছে রুগীর
চিকিৎসার জন্যে।


যারা আমাকে পাগল বলে- তাদেরকে বলি হ্যাঁ, হ্যাঁ আমি পাগল আমি পাগল
আমি ভাবের পাগল- আমি ভবের পাগল
এভাবেই যেন পাগল হয়ে থাকতে পারি- চিরটাকাল।


আমাকে পাগল বলে- কোন ক্ষতি নেই
আমাকে দুর দুর করুক- তাতেও মন হবেনা খারাপ
কারণ আমি লেখক- আমি বুঝি মানুষের মনের কথা
তাদের কথাগুলোকে সাজিয়ে লিখি- নান্দনিক ছন্দে সাজিয়ে
তাই পাইনা কষ্ট এতটুকুও- ওদের কথায়।
কিন্তু, কোন কবিকে যদি কেউ করে হেয় প্রতিপন্ন- লাগে ব্যথা মনে
যদি কোন কবি বলে আমি ব্যর্থ- পাই মনে ব্যথা, বড়সরো
হৃদয়ে দাগ কেটে যায়, কথা শুনে- প্রতিবাদের স্বরে, উচ্চকণ্ঠে করি প্রতিবাদ
কারণ- আমি একগুয়ে, আমি এক রোখা- সামনে এসে বলে যাবে, কবিরা ব্যর্থ?
তাকে রাখবোনা আস্ত- কথার মারপ্যাচে হেরে, যাবে চলে।


যখন শুনি এক কবি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছেন খাবারের সন্ধানে
তখন খুব কষ্ট লাগে মনে- হৃদয় হয় মর্মাহত, কেঁদে ওঠে মন
নিজ সামর্থ অনুযায়ী করি সাহায্য- নিজের চেয়ারখানা ছেড়ে বসতে দেই।


লোকে বলে- এই তুমি কি পাগল?
অপরিচ্ছন্ন আর এক বিদ্ঘুটে লোককে দিচ্ছো ছেড়ে- তোমার দামী চেয়ারখানা
সত্যিই! তুমি পারও বটে।
উচ্চস্বরে বলি না না- উনি নন বিদ্ঘুটে উনি নন লোক
উনি কবি- উনি আমার গুরু।


দাগা পাই মনে- তখনই
যখন- একজন কবিবে কেউ ব্যর্থ বলে।


(অক্টোবর ১৫, ২০১৭)


দৃষ্টি আকর্ষণ- গত ১৫/১০/২০১৭ তারিখে পাতার কোনও এক শ্রদ্ধেয় কবিবর লিখেছিলেন ‘ব্যর্থ কবি’ নামক একটি কাব্য। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমার এ লেখনির প্রকাশ।