শুক্রবার ছুটির দিন খাওয়া ঘুম আর খেলা
ভাল মন্দ খাবার খাওয়া আর ঘুমপাড়া
দিনটি কাটায় সুখে দুঃখে- হাসি ঠাট্টাতে
প্রিয়জনদের সময় দেওয়ার- মোক্ষম দিনটা যে।


বেশি খাবার খেয়ে- তোমার ওঠে যদি অম্বল
খুশি মনে গেলো তাকে- ব্যস্ত খেলার তালে
বেঁধে যদি যায় শ্বাস নালিতে-
হ্যাঁচ্চি হবে কাশি হবে কফ হবে বেড় বার বার
শ্বাস-প্রশ্বাস পারবেনা নিতে- বেড় হবেনা কথা তোমার।


শুক্রবার দিনটি এলেই মনে পড়ে যায়-
ঊনত্রিশ জুন দুই হাজার সতেরর- রাত্র আটের কথা
পারিনি নিতে নিঃশ্বাস আমি- ছাড়তে পারিনি শ্বাস
নিঃশ্বাসের বিশ্বাস নেই- বলে সর্বজনা।


পথিক বেশে এসে তিনি- করলেন ঝাঁকাঝাঁকি
কিল ঘুষি মারতে থাকেন শীড়দ্বাড়া জাতি।
বন্ধুবান্ধব ছিল বলে- এ যাত্রায় ফেরা
না থাকলে গেছিলাম এবার- পৃথিবীটা ছাড়ি।


রাজা মাফুজ সাগর ফিরোজ- আরও ছিল পথিক
জল ঢালে ডাক্তার আনে ঘুরতে লাগে খালি
কি হলো হায়! কি হলো তোর? বলনা আমায় ভাই
বাড়ীতে কি লোক পাঠাবো? কি করি উপায়।
মাফুজ যা তুই খবর দিয়ে আয়- ঠাকুরের মা কে
গেল বুঝি চলে আজই ঠাকুর বেটা অনীক।


মিনিট বিশেক পড়ে আমি জ্ঞান ফিরে পাই
কি হয়েছে তোরা কেন আমায় ভেজালি?


মারবো থাপ্পর একটা তোকে
ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি যে?


এই ঠাকুর পানি খা এইনে ধর বিড়ি-
টানে টানে মজা পাবি- ছাড়বে দম তাড়াতাড়ি
বসবি খেলতে এক্ষুণি।
আর খাবিনা- মাংস পোলাও- খেয়েই মরে না খেয়ে নয়
বুঝলি? এবার খাওয়ার মজা- ছেড়ে দেনাভাই খাওয়া খাওয়ি।


শুক্রবারের দিনটারে ভাই আর করিস না পালন
খেয়েই মরে না খেয়ে নয়- বুঝলি কি তুই এখন?


(জুন ৩০, ২০১৭ সময়- দুপুর- ১:২০)


বিঃদ্রঃ জুন ২৯, ২০১৭ রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছিল। এক পথিক তার প্রায় ১৫/২০ মিনিটের চেষ্টায় আমি সম্বিত ফিরে পাই। সেই কথা মনে পড়লে এখনও আমার গা শিহড়িত হয় আর সেই ঘটনা থেকেই আমার এই লেখনি।