বসেছি খেতে দুই ভাই, সাথে বউ দু’টি
বাবা আছেন সাথে মোদের, মা দিচ্ছেন খেতি।
সোনামণি এসে বলে, বসবো কোথায় আমি?
ও দা’ভাই দাওনা আমায়, চেয়ার খানি আনি।


সবার জন্যে আছে চেয়ার, আমার জন্যে নেই
ও ঠামমা আমি কি তোমাদের-
কাছের মানুষ ন’ই?


সোনামণির বয়স এখন সবে পাঁচ-ছয়
আবদার শুনলে মনে হয়
কুড়ি ছুই ছুই।


কাঁন্নাকাটি করছে সোনা, আমার চেয়ার কই-
ঠামমা আর জ্যেঠুমনি তাহারে বোঝায়।
থামেনাকো কাঁন্না সোনার- গিয়ার মেরে কাঁদে
কাঁন্নার ছলে সোনামণি শুধায় বারে বারে-
জানতে না তোমরা? আসবো আমি- তোমাদের এ ঘর।


জ্যেঠুমনি দাদাভাই তোমরা কেমন লোক-
পরিকল্পনা কি ছিলনা তোমাদের? বাড়তে পারে লোক।
ভুল তোমরা ভুল করেছো মাশুল দিতে হবে-
যখন আমি রইবো নাকো, বুঝবে কেমন লাগে।


কাঁদতে কাঁদতে ফুলে ওঠে সোনামণির চোখ
খাওয়া ছেড়ে সকলে মিলে, মুছি খুকির চোখ।
আর কেঁদনা সোনামনি-
আজই হবে চেয়ার খানি, তোমার লাগিয়া
জেম’মা দেবে ভাতটি বেড়ে, খাবে- তুমি বসিয়া।
আর কেঁদনা আর কেঁদনা সোনামণি তুমি-
এনে দেব রাজপুত্তুর- পালকি করি আনি।


আর হবেনা এমনটি ভাই, দাদাভাই বলে-
ঠাকুরমা নেন কোলে তুলে চোখের জল মুছে,
মা বলে সোনা পাখি বাবা বলে টিয়া-
আর কেঁদনা আর কেঁদনা, দুষ্টু পাখি মুনিয়া।


সোনামণি ধরেছে বায়না- এক্ষুনি দাও আনিয়া
আনলে খাব নইলে নয়- কাঁদলে কিন্তু থামবো না।


(জুন ১৩, ২০১৭)


(ভাস্তি আরত্রিকা মজুমদার রাকা সোনামনির পরবর্তী বায়না এমন হতে পারে। এখন রাকা’র বয়স মাত্র ১১ মাস ১৩ দিন)