নেই বিদ্যুৎ মোর ধারে কাছে
পিসিটা আজ আমাকে দিয়েই- চালাচ্ছে
‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে
গেলাম বুঝি আজ আমি মরে।


হাতে কাজ তোর- ছাড় না এখন মোর
দিচ্ছি সিগনাল- আমাকে বন্ধ কর।
বিদ্যুৎ বেটা পাজি- যাচ্ছে বেশ ঘনঘন
আমি মরলাম, গেলাম- পুড়ে ছায় হয়ে
আয়না ভাই তাড়াতাড়ি।
আর পারিনা সময় দিতে- তোমায় আমি ভাই
করো বন্ধ তুমি ও ভাই- এক্ষুণি আমায়।


কাজ নেই হাতে? যাচ্ছিস বাড়ে বাড়ে-
বিদ্যুৎ বেটা পাজি।


যাচ্ছি চলে ভাই- ফিরিবো? জানিনা কখন
বিদায় বন্ধু বিদায় ছাড়িছো না কেন- এখন আমায়
ছাড়ো ছাড়ো এখন- দাও বিদায়।


ভোল্টেজ কম হেথায়- আসে আর যায়
করি কি উপায় হায়! করি কি উপায়
ছাড়ো ভাই ছাড়ো- আজ আমায়।
এভাবে কি চলে? কাজ কর পরে?
বিদায় দাও ভাই, ছাড়ো- আমি যাই।


যার কাছে নেই আমি- খাচ্ছে হরহামেশাই বাড়ি
যাচ্ছে চলে হার্ডডিক্স মাদার বোর্ড কিম্বা র‌্যামগুলি।
হায়! হায়! হায়!- আমি করি কিযে হায়!
আছে কি? কোন উপায়।
যাচ্ছে যাক! নেই কোন ভয়-
নাহ! বারবার এভাবে, মোর- হবে কি উপায়।
করি ভয়ে ভয়ে কাজ- গেলাম বুঝি আজ
আমি পুড়ে।


মিটারে উঠছে রিডিং বেশী বেশী করে- এম্পিয়ার বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে
নেই বলার কাওকে- বলিব কি কাকে- জানিনা আজ- জানা নেই, গেলাম বুঝি আজ পুড়ে।


কথায় আছে- গাছ বাঁচিয়ে ফল খাও তুমি- গাছ বাঁচিলে বাঁচবে তুমি
বিদ্যুৎ বেটা- আসো তাড়াতাড়ি- আছি চেয়ে পথ, আজ তোমারি।
তুমি আসিলেই বাঁচিবো আমি- এসো ভাই তাড়াতাড়ি-
বলছি আমি, বাঁচাও আজ তুমি- বিদ্যুৎ ভাই আমারই।


(আগষ্ট ১২, ২০১৭)


বিঃদ্রঃ বিদ্যুৎ চলে গেলে বেশ কিছুক্ষণ ইউপিএস দিয়ে আমরা কম্পিউটারে কাজ করে থাকি। কিন্তু কখনও বুঝিনা যে ইউপিএস এর কি অবস্থা, যদিওবা ও সিগনাল দেয়, আমরা বুঝতে পারি কখন ইউপিএসটি বন্ধ করতে হবে। ইউপিএসতো বলতে পারেনা তবুও নিজের মত করে লেখনি আরকি। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।