ভাবতে বসেছি পড়ন্ত বেলায়।
আনমনা মন চলে যায় দিগন্তবৃত্ত ছাড়িয়ে।
ধীরেধীরে আকাশের চরিত্রস্খলন!
নীলাভ আকাশ আঁধারিয়ার গ্রাসে।
আলোর রোশনাই অস্তমিত সময়ের ভারে।
নাম পদবী কখনও ছিল জন্মপ্রমাণপত্রে!
সময়ের ভারে চারিত্রিক বদল শারীরবৃত্তিক।
.....এখন শুধুশুধু একরাশ ভাবনা,
হিজিবিজি আঁকিবুঁকি কাটে ছেঁড়া ক্যানভাসে।
...ফ্ল্যাশব্যাকে চলে যায় মন।
ভরা সবুজবাগে কুহুতানের কোলাহল ছিল।
বাবুইপাখির সুন্দর বাড়িটা বেশ লাগতো।
সুরেলা কণ্ঠে মেঘমল্লার রাগ বাজত।
বাবুদের আনাগোনায় মজলিশ জমজমাট।
.....আর এখন জলসাঘরের ঝাড়বাতি আলোহীন।
নাচমহলে নেই নূপুরের রিনিঝিনি।
বসে না জলসাঘরের মজলিশ।
ভগ্নদশা চতুর্দি আঁধারচিত্র মনের গভীরে।
সন্ধ্যা আসবে রাত হবে গভীরতম।
সন্ধ্যাতারা কী পারবে আলোকিত করতে?
পূর্ণিমারাতের  চাঁদেও যে কলঙ্ক আছে!