আমি জানি,সে তার প্রতিকৃতি
কখনো আয়নায় দেখেনি
আমি জানি,সে কখনো আপন আঁচল উড়িয়ে দিয়ে—
মোহিনী রূপে গিয়ে দাঁড়ায়নি
তার কাঙ্খিত পুরুষের কাছে।
অবহেলায় তার মন পুড়েছে,
তবু কখনো মিথ্যে প্রতিশ্রুতির পসরা সাজিয়ে
সে গিয়ে দাঁড়ায়নি—
           অন্য কারোর দুয়ারে,
            নতুন করে ঘর বাঁধবে বলে।
আর বাকি যা কিছু—
তার কপালের টিপ,চোখের কাজল
ধুয়ে গেছে উজানের চোরাস্রোতে।
গোধুলী বিকেলের সানাইয়ের সুর,
আর রজনীগন্ধার সুবাসে—
মুগ্ধ কোনো আগন্তুক বদলে দিয়েছে          
               তার ভাগ্যলিখন।
বাকিটা তো অলেখ্য।
নিয়ন আলো,সুরভিত চারপাশ
আর অখণ্ডিত এক ধূ ধূ ভূমিখণ্ড।
ভালো না থাকা’টা কখন যেন
        বদলে গেছে ভালো রাখার তাগিদে।
না হতে পারা ইচ্ছেরা কখন যেন
পথ খুঁজেছে অন্য কারোর ইচ্ছাপূরণে।


আজ মেয়েটা অভিমানী নয়
বড্ড বেশী সাবধানী ।
আজ মেয়েটা স্বপ্ন ভেঙেও
স্বপ্ন গড়ে অনেকখানি।
কপাল পোড়ার অতীত মুছে—
এখন তো সে সীমন্তিনী।