এমন একটি বর্ণ আছে ,যা অন্যের কাঁধে ভর করে চলে- (চন্দ্র বিন্দু)
তুমি ছাড়া এই জীবন জ্বলবে দাবানলে ।
এমন একটি সংজ্ঞা আছে ,যা সঙ্গ- সংযুক্ত - (দুটি মনের মিল)
তুমি ছাড়া এই জীবন যাবে রসাতলে ।
এমন একটি জিনিস আছে ,যা দেখা যায় না অনুভবে বুঝে -(ভালোবাসা)।
তুমি ছাড়া এই জীবন নিসঙ্গতায় ভুগে ।
এমন একটি লাইন আছে ,যার অর্থ সুমধুর -(আই লাভ ইউ)
তুমি ছাড়া বজাবে না সেই সুর , জীবন টা যাক না যতদূর ।


রচনা
১।৫।২০১২


আমার শিমুল
- মোঃ মজিবুর রহমান


এক শিমুল ফোটা ভোরে
বুকের চাতালে রাখবে বলে ধরে
বাংলার কিছু পরিমল বায়ু,
হেঁটে চলে ডিজিটাল ক্যামেরা কাঁধে
কোনো এক আলোকচিত্রি
পেতে তার জীবনের শতায়ু।


গ্রামের প্রান্তর।
কাক ডাকা ভোর
নেই তেমন কেউ কাছে-পিঠে,
হঠাৎ বিস্ময়ে দ্যাখে
শিমুলের ডালে লেগেছে আগুন
ছড়িয়ে পড়েছে মাঠে।


ওয়াও! লাফিয়ে উঠে আলোকচিত্রি, বলে-
হে অন্তর্যামি,
দিয়েছ যে তুমি,
চেয়েছিলাম আমি যা
তোমারই করুণার ছলে।


ক্লিক, ক্লিক, ক্লিক.............
ক্যামেরার গায়ে
উঠলো হেঁকে অনেক রব।
প্রাণের কঠিন স্পন্দনে
নিল সে যতনে
শিমুলের চিত্র সব।


এরপর আলোকচিত্রি
ফিরে এল তার ঘরে,
আমাদের এই প্রাণ প্রিয় ঢাকা শহরে।
নিশ্বাশে ভর রেখে ছুটলো সে কালার ল্যাবে,
কত যে বিমূর্ত শিমুল আছে ক্যামেরার ফ্রেমে
প্রিন্টের কুশিলব ছোঁয়ায়
সবগুলো আজ দেখা যাবে!


হৃদয়ে হলো বারি বর্ষণ,
যেন কন্যা কামিনীর সাথে হবে দর্শণ।


প্রথম কয়েক ছবিতে এল
শিমুলের শৈলী স্বপন রুপ।
এরপর একি!
ছবিতে ঘটে গেল ঢাকার চির চেনা রূপ।


কয়েক ছবিতে এল-
হরতাল, মিছিল, পুলিশের লাঠি পেটা।
কয়েক ছবিতে গাড়ি ভংচুর,
কয়েক ছবিতে যুবতীদের মাথা কাটা।


কয়েক ছবিতে বইয়ের দোকান পোড়া,
কয়েক ছবিতে ইয়াবার স্তুপ ব্যাগে মোড়া।


এরপর এল ওয়াসার পানিতে লাইন,
তারপর বিশেষ দৃশ্য বর্ণনাহীন.........।


আলোকচিত্রির ফেটে পড়ে বুক।
দৃশ্যের একি পরীবর্তণ,
এ কেমন অমানবিক রুপ!


নিজেকে সে বলে -
কোথায় শিমুলের লাল ফাগুন,
কোথায় জীবনের সব গুন।
শিমুল হারিয়ে কি তবে হয়েছে
নরকের আগুন?