রঙিন ছবি রাতের কালি,ক্লাবের দুয়ারের ঝলকানি
মদের নেশায় চোখে আল্‌তা ঢেলে,আবল তাবোল বক্ বকানি ।
মায়াবিনী সুর জাগায়,জ্বেলে প্রদীপ অর্ধনিশীথে,
চন্দ্রমুখীর পায়ে পায়েল বাজে,রূপ লাবণ্যের নেশা ছড়াতে ।
হৃদয় খান খান দেব বাবুর চঞ্চল,প্রেমের নিত্যবিরহে,
তীব্র তপ্ত দীপ্ত নেশায় চিত্ত মেতে উঠে,নীল বেদনার তমোগহ্বরে ।
চন্দ্রমুখী সেবার ডালা সাজায়,অন্তরবিদারণ,গৃহপানে,
বীণাযন্ত্র আর মূর্ছনাভরে গীতঝংকার উঠায়,দেব বাবুর চিত্তের মাঝ খানে ।
কিরণবসন অঙ্গ জড়ায় চন্দ্রমুখী রূপের গ্রহমণ্ডলে
অধরে করুণ হাসি হাসে দেবা,মলিন  মুখ মখমণ্ডলে ।
তবু ও দেবদাস,পরশ নেয় না চন্দ্রমুখীর রূপের মহাসাগরে,
নেশার আঙ্গিনায় পড়ে থাকে,ভুলবার তরে, চিরচেনা সেই মুখটারে ।
অসীম বিরহ, অপার বেদনা,বক্ষবীণার তারে তারে,
অশ্রুনদীর আকুল ধ্বনি টুটিয়া যায় মর্মপাথর সারে সারে ।
অন্তর কোণে প্রতিমা গড়েছে দেবা,সেই শৈশব থেকে পারুকে,
চাল-কলা বাঁধা ঠাকুরের মেয়ে বলে,জমিদার প্রত্যাক্ষ্যান করেছে স্বরুপে।
তাই তো !!নেশার ঝুলি ক্লান্তহৃদয়,ভ্রান্ত পথিক,দেবার কাটে দিন মনে,
রক্তবমি ঝরায় পীড়িয়া হৃদয়ে,সিরাপ নেশায় পারুর আঙ্গিনায় মরণক্ষণে ।


রচনা
০৭।১২।২০১৩