সন্তান জন্মের পর কেউ একটু খুশি কেউ একটু বেশি খুশি।আর তা মেয়ে
সন্তান এর ক্ষেত্রে।তা বৈকি।কিছু সাল আগে সেই রকম প্রমাণ অহরহ ।
আর ছেলে হলে যেন,ঈদ্ পড়েছে জষ্ঠি মাসে গ্রীষ্মে এমন
হৈ হুল্লর লেগেই থাকে।কিন্তু মেয়ে সন্তান কম কিসে?
কন্যা টি ও বদলে দিতে পারে বাবা-মা এই জীবন পঞ্জিকা,
এই তো সেই দিন দেখলাম,ছেলে তার বুড়ো বাবা-মা কে বৃদ্ধা  আশ্রমে রেখে এলো।অচল বুড়ো-বুড়ি মুখখানি যেন উছলে-পড়েছে ।হৃদয় যেন ঢেউ খেলিয়ে যাচ্ছে,ভুরুর মাঝে উল্কি-আঁকা ফোঁটা ফোঁটা কষ্টে।অতিমধুর পরিপক্ক স্নেহের রসে লালিত সন্তান এর কাছে আজ তাঁরা ঝরা দুইটি ফুল।
রুপা হাঁটি হাঁটি পা-পা করে শত দৈন্যদশার মাঝে বাবার সংসারে তিন ভাই-চার বোনের বসবাস। বড় দুই ভাই বিয়ের পর বউ কে  উধাও।ঘরে মা প্যারালাইসিসে পঙ্গু।বুড়ো বাবা একক আয়ে পরিবার যেন দিশেহারা। সারা দিবসে অসীম খাঁটুনির্ঘাম তাঁকে যেন পরিহাস করে। এরি মাঝে একদিন বিছানায় পড়লে তো সেই দিন চুলায় হাড়ি ও জ্বলে না।রুপা তার পিঠাপিঠি বোনদের এবং ছোট ভাইটির মুখের দিকে মলিন বদনে ফ্যাল্ ফ্যাল করে তাকিয়ে অসহায় হয়ে নীরবে অশ্রু ঝড়ায়।"ও দিদি ভাত দে,ও দিদি ভাত দে" এমন আকুতি তাকে যন্ত্রণায় কাঁদায় ।
অবিচল হয়ে রুপা কোন পথ খুঁজে পাই না কান্না ছাড়া।সান্তনার বাণী শুনায় "বাবা সুস্থ হোক,তবে ই"..............বলতে পারলো না।ও দিদি ক্ষুধা যে আর বাঁধ মানে না!!এমনি এক দিন বাবা  চলে গেলেন না ফেরার দেশে।কান্না জড়িত আক্ষেপ তাকে ও কাঁদায়।মায়ের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না।  ঔষধ  নেই, জিহব আড়ষ্ট মুখে কিছুই বলতে পারছে না,খালি ঔষধ এর খোসা গুলো নেড়ে বারংবার রুপা কে দেখানোর চেষ্টা করছে।


রচনা
২৩।১২।২০১৩
প্রিয় সাহিত্য প্রেমী,কবিতা প্রেমী পাঠক/ পাঠিকা এবং সম্মানীত  কবি গণ আমি এই "কন্যাকুমারী" গদ্য কবিতা টি কয়েক টা সিরিজে সাজাতে যাচ্ছি ,তবে এইটা কোন কল্পনার কবিতা নয়,একেবারে বাস্তবতায় ভরা। আমি শুধু আমার ভাষায় তুলে আনার চেষ্টা করছি মাত্র । কেমন লাগলো জানালে খুশি হবো।