উঠতি শরীরে উর্বর ভূমি লুকিয়ে রাখতে আবরণের অভাব দেখে রুপা কষ্টে
অন্তরমাঝে ক্ষতবিক্ষত।


ভয়ার্ত শোণিত আঁখিদ্বয়ে নামে কালোছায়া,দারিদ্রতার অভিশাপ ধমনীর জ্বলন্ত
প্রলাপ যেন আজ তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে । অনেক কষ্টে এইচ এস সি পাশ
করার পর ও প্রতিকুলতার অভাবে ডিগ্রী টা জুটাতে পারেনি তার
কপালে।সারাদিন অক্লান্ত টিউশানী,তাতে ও পরিবারে ভাঙ্গা সাঁকো কাঁধে
নেওয়া টা অসম্ভব বৈকি ।
গত রাত্রে মেঝো বোন মৌ  ঘরে ফিরেনি।ক্লান্তিহারা পথিকের ন্যায় দৃষ্টি
ফেলে সারারাত উন্মুখ হয়ে প্রতিক্ষায় ছিলো।আকাশের পানে তাকিয়ে
নিষ্ঠুর সান্ত্বনাঃখুঁজেও পাইনি।ধূ-ধূ করা চেরাপুঞ্জি-সহিষ্ণু হৃদয়ে অনিবার।
প্রভাতে যখন ফিরে এলো,শুষ্কমুখে আঁধার ধোঁয়া চেহারায়,এলোমেলো
চুলের বাহারে,রুপা তখন হতবাক।অসীম প্রশ্ন ছুড়লে ও কোন উত্তর ফিরে
আসেনি। নীরবে চলে গেলো স্নানানঘরে,ঝর্না ছেড়ে দিয়ে ভিজালো নিজ
দেহখানী,উলকার স্রোতে মৌ।
রুপার হাতে হাজার কয়েক টাকা ধরিয়ে দিয়ে,মায়ের ঔষধ এবং খাবার
আনার জন্য বলে বিছানায় চলে গেলো।ক্লান্ত শরীরে পুরুষ চোষ্য,দেহ
মৌ'র নীরবে বিশ্রাম খোঁজে  ।এমন নিষ্ঠুর চিত্র অসুস্থ মায়ের সন্মুখে!!!
জননী বোবা কান্নায় কেঁদে দীন দুনিয়ার পথে পাড়ি জমালেন।
ক্রিয়াকর্ম-যজ্ঞযাগে যমুনার তীরে বৃন্দাবনে শেষ।ভাইদের সংবাদ দেওয়ার
পরে ও পাত্তা মেলেনি কারো।
অসীম যাতনায় আঁধার ঘেরা,তার জগৎখানি গভীর কালো মেঘের বাঁকা ধনু
তে টুটে যাওয়া অন্তরের তমোগহ্বর ।


রচনা
২৬।১২।২০১৩


প্রিয় সাহিত্য প্রেমী,কবিতা প্রেমী পাঠক/ পাঠিকা এবং সম্মানীত  কবি গণ আমি
এই "কন্যাকুমারী" গদ্য কবিতা টি কয়েক টা সিরিজে সাজাতে যাচ্ছি, তবে এইটা
কোন কল্পনার কবিতা নয়,একেবারে বাস্তবতায় ভরা। আমি শুধু আমার ভাষায়
তুলে আনার চেষ্টা করছি মাত্র । কেমন লাগলো জানালে খুশি হবো।