রুপা'র উদাসিয়া হিয়া অস্থির।চেনা-অচেনা চিন্তার আবেশ থরথর করে কাঁপছে
বুক।সদা কতক চিন্তার ভার ঠাঁই করে অবুঝ মনে।হৃদয়কম্পন মানে না বাঁধা।
অনাঘ্রাত ক্ষণ রুপা জানে না সামনে কোন পরীক্ষার সাথেপরিচয় করিয়ে দিবে।
হৃদয়কম্পন উঠে বসলো কিছু বাজে ছেলে কুনজর দেখে,মৌ এর দিকে,রুপা
নিজে কে কিছু টা সংযত করে মৌ কে পাশে ঘেঁসে বসালো।
পাশের সীটে এক মাঝ বয়সী লোক রুপার দিকে তাকিয়ে অনেক ক্ষণ নাগাদ
অনেক কিছু বুঝে নিলো।রুপার মুদিত আঁখির ফাঁকে কত যে অস্থিরতা থৈ থৈ
করছে তা সে আঁচ করতে পেরেছে ।রুপার মনের নিভৃত নিকেতনে কি ঝড়
বইছে ভদ্রলোক যেন সহজে বুঝে নিলো।ভদ্রলোক নিজে যেচে গিয়ে রুপার
কাছে নিজের পরিচয় দিলো।
মা আমি একজন লেখক,এবং সাংবাদিক ও বটে।মানুষের সুখ-দুঃখের,ন্যায়-অন্যায়-অত্যাচার আমার কলমের কালিতে লিখি।তোমাদের দেখে মনে হচ্ছে
তোমরা খুব বিপদগ্রস্থ ।আমায় তোমারা বিশ্বাস করতে পার,হতে পারি আমি তোমার বাবার মত,আমাকে তাঁর মত জেনো।এই ধরণীতলে আমি এবং আমার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তোমরা চাইলে আমার সাথে যেতে পার। আশে পাশের পরিস্থিতি তেমন ভালো না।আমার স্ত্রী তোমাদের পেলে বেশ খুশি হবেন ।
রুপার মনের প্রাসাদের শঙ্কা,আতংক চিন্তার আবেশ যেন কিছু টা লাঘব হতে
চললো। চিন্তার কলতানে উত্তাল মেঘে মেঘে ভাসা গুচ্ছ জলরাশি আজ যেন
কিছুটা স্থবির হতে লাগলো ।


রচনা
২৯।১২।২০১৩
প্রিয় সাহিত্য প্রেমী,কবিতা প্রেমী পাঠক/ পাঠিকা এবং সম্মানীত  কবি গণ আমি
এই "কন্যাকুমারী" গদ্য কবিতা টি কয়েক টা সিরিজে সাজাতে যাচ্ছি, তবে এটা
কোন কল্পনার কবিতা নয়,একেবারে বাস্তবতায় ভরা। আমি শুধু আমার ভাষায়
তুলে আনার চেষ্টা করছি মাত্র । কেমন লাগলো জানালে খুশি হবো।