কত কষ্টে গড়া সোনার প্রতিমা আজ বুঝি সামান্যা সুখের আশায় অতীত
ভুলে যাতনায় ভাসিয়ে গেলো লহরের দুঃখের সাগরের ত্রাসে।
নির্বাসন দিয়ে গেলো অন্তরের গূঢ় অন্ধকারে হৃদয়দুর্গে রুপার।
নিপা এবং ছোট ভাই অনিক এসে তাতে সামীল হলো।দিদির দুঃখে তারাও
ব্যাথিত।বাঁচার স্বপ্ন যখন নতুন করে হাতের কাছে ছোঁয়া দিলো তখন বুঝি
তার ছোট বোন টি নিজের স্বপ্ন চরিতার্থ করার জন্য নিজের সুখ কে বড় করে
দেখলো!! এ কেমন নিষ্ঠুর কষ্টে জর্জরিতা প্রাচীরে ঘেরা বিধিলিপি!!
স্নেহমোহে জড়িয়ে রেখেছিলো সেই শৈশব থেকে আগলে রেখেছিলো বুকের
মাঝে সন্তানতুল্য আদরে আর সেই মৌ ...........কেঁদে যাচ্ছে রুপা অবিরাম।


অস্ফুট স্বপ্নের ফুল আজ পুরনো দিনের খোয়াব ছেড়ে কুয়াশা আবরিত সূর্যের
তাপের মত বিকিরণ হচ্ছে অমলেশ বাবুর। আজ তিনি তার পত্রিকা অফিস টা
নিজের করে নিয়েছেন,ব্যাংকের দায়বদ্ধতা থেকে নিজে কে মুক্ত করে নিলেন
তার এবং রুপার অক্লান্ত পরিশ্রমে রুপার মেধাকে কাজে লাগিয়ে পত্রিকা টি আজ সদলবলে খুব জনপ্রিয় সবার কাছে।
অমলেশ বাবু পত্রিকা কোম্পানি টি রুপার নামে করে দিয়েছেন।তা দেখে রুপা
খুশিতে কেঁদে ফেলেছে।সেই দিন যদি এই অমলেশ বাবু তাদের আশ্রয় না
দিতেন তা হলে কোন অচেনা স্রোতের বানে ভেসে গিয়ে কোন মহাসাগরে
ভিড়তো তাদের জীব্ন নোঙ্গর কে জানতো?


রচনা
০১।০১।২০১৪
প্রিয় সাহিত্য প্রেমী,কবিতা প্রেমী পাঠক/ পাঠিকা এবং সম্মানীত  কবি গণ আমি
এই "কন্যাকুমারী" গদ্য কবিতা টি কয়েক টা সিরিজে সাজাতে যাচ্ছি, তবে এটা
কোন কল্পনার কবিতা নয়,একেবারে বাস্তবতায় ভরা। আমি শুধু আমার ভাষায়
তুলে আনার চেষ্টা করছি মাত্র । কেমন লাগলো জানালে খুশি হবো।