ঠোঁট দুটি টগবগ করে কাঁপছে,উষ্ণতায় অভাবে অহর্নিশ,
গায়ের লোম গুলো চড়া দিয়ে উঠেছে আপন উত্তেজনায়,
গড়গড় করছে পুরো শরীর,টগবগ করছে ক্ষুধিত পাকস্থলী
দুই  দিন যাবৎ ক্ষুধার দশায় অস্থির, শ্রীহীন বসন খানি
শতক তালিতে জোড়া,বাজে লোকের কুনজর পড়েছে বটে
কামিনী,যামিনী ফুলের সুধাতে।এগিয়ে এলো যারা তারা
সবায়,আপন চুপ্ চুপ্-দুপ্ দুপ্!!ঐ বাঁকা দুষ্ট হাসিতে হাসে।
জটিল পৃথিবী অসহায়ের অবরুদ্ধ দুনিয়া দৃষ্টিহীন আকাশের
নিষ্ঠুর সান্ত্বনা খোঁজে বালিকা রুমা।
সে ও বাঁচতে চাই অন্য সবার মত হেসে খেলে রঙ্গিন দুনিয়ায়
কিন্তু নিয়তি তার উল্টো,জন্ম থেকে কাঁদছে ফুটপাতের দুনিয়ায়।
কোন এক রমনী তাকে জন্ম দিয়েই ফুটেছেন,ফেলে দিয়ে রাস্তায়।
জগৎ ছবি তার অশ্রুকণা,পলে পলে নিজের সতীত্বের লড়াই
দুরুদুরু বুকের কোণে কাঁপছে।ঘুমের ঘরে ও শান্তি মিলে না
দুষ্ট লোকের অনৈতিক প্রস্তাব।রূপ কখনো আকাশের মেঘপুঞ্জ
আবার কখনো বা কাল হয়ে দাঁড়ায়।রুমা আজ তার মাঝামাঝিতে
দাঁড়িয়ে। সবায় চায় তার অমৃত পিয়ালে ক্ষুধা চুমিতে ।


গা টা শিউরে উঠে,কনকনে শীতের তান্ডবে,রাস্তার ধারে
এক টুকরা পাতলা চাঁদর জড়ানো এতিমদের বেহাল দশা দেখে।
রুমা তাদেরই সহপাঠি।


রচনা
০৯।০১।২০১৪