না মা আমায় তুমি এই  ভাবে অগ্নিতে  ছুড়ে  ফেলে দিও না,
আমায় এই ভাবে বেচে দিওনা,আমি পড়বো,মা আমি অনেক
পড়ালেখা করতে চাই"রেনু'র কথায় কোন ভ্রুক্ষেপ ও করলেন
না বরঞ্চ ভ্রুকুচকে নিষ্ঠুর শাসন "এই চুপ থাক আমি যা ভালো
করছি তোর ভালোর জন্য করছি, ছেলে অনেক বড় লোক,গাড়ি
বাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স সবই আছে, এগিয়ে আসা ধন তো  আর
পায়ে  ঠেলে দিতে পারি না। তুই  তো এখন  অনেক  বড়  হয়ে
গেছিস!! ক্লাস ফাইভ এ পড়ছিস"?
রেনু আজ বড্ড অসহায়।রাঙা বদন আঁখিজলে ভাসছে । তার মা
বেঁচে থাকলে তাকে এমন কঠিন দুর্দশাই কখনো পরতে হতো না ।
যাঁর মাঝে রেনু নিজের মায়ের অস্তিত্ত্ব খোঁজে,তাকে কিনা সেই মা
সামান্য  কিছু  টাকার লোভে  চল্লিশের উপরে বুড়োর হাতে  তুলে
দিচ্ছেন!!বাবা তো থেকে ও নেই। বউ সেজে বুড়োর হাত ধরতেই
হলো।হায়রে নিয়তি!!শত অনুনয় চোখের জলে ভেসে গেলো।শিশু
সুলভ মন এখনো বিয়ের কি বুঝে?কি বুঝে সংসার? বিয়ের  প্রথম
রাতে রেনু বারংবার জ্ঞ্বান হারিয়েছে,বুড়োর  অমানবিক  স্বামীত্তের
অধিকার দিতে গিয়ে।এক সময় রেনু'র আর কোন সাড়া মিললোনা,
নিথর  হয়ে  গেছে তার সোনার  দেহ, নীল  আবরণে  সাদা  ঠান্ডা।
নিভে গেছে সকল স্বপ্ন ,জ্বলে গেছে রেনুর জীবন  প্রদীপ ।


রচনা
১০।০২।২০১৪