বিয়ে বাড়ি,
চৌদিকে ধুম-ধুমাধুম ভরাট শব্দ
বরযাত্রী এই এলো বলে...
ঠাকুম্মা ছেঁছিয়ে বললেনঃ এই কিরে আমার নাতনী টাকে
ঝিলমিল করে চকচক করে সাজিয়ে দে-না,কমলা রঙ্গের লিপ টা একটু
বেশি করে দে,যেন ঠোঁট টা দেখতে কমলার মত লাগে-
আমার নাত জামাই টার যেন মাথা ঘুরে যায়-হিঃহিঃহিঃ
ঐশি-ও ঠাকুম্মা তুমি এসো  তোমায় সাজিয়ে দিই,তোমায় আবার
বিয়ে দিই রসিক নাগর পাবে,মজা হবে লীলাবতীর
বদলে তোমাকে বাসর ঘরে পাঠাবো।
_আহারে !!সেই বয়স কিএখন আর আছে ? তোর দাদু তো আমায় সেই
বাসর রাত্রে এক ফোটা ঘুমাতে দেই নি রে উপ!! কি মজার রাত ছিলো।
এই বর এলো বর এলো__হৈ হুল্লুড়  চৌদিকে...
কন্য সাজকক্ষ শুন্য ।লীলাবতী একলা ঘরে,ভাবছে বসে জীব্ন স্বরলিপি।
ঐশি-এই লীলাবতী  তোর বর হেবি সুন্দর রে,ইচ্ছে করে আমি তাকে
বিয়ে করি জড়িয়ে ধরে কিস করি !!বান্ধবীর কথায় লীলা লজ্জায় লাল-
_ইশঃ ই-রে  একটু পরে বাঁধবে যুদ্ধ।
_যাঃ ঐশি তোর গালে কি তালা নেই!!
ঠাকুম্মা এসে বললেন
_এই তোরা কে কোথায় আমায় তোরা সাজিয়ে দে,আমি এই
নাগর টা কে ছাড়ছিনা ।আমি তাকে বিয়ে করবো।
লীলা- এই বুড়ি যাও না গলায় গিয়ে মালা দিয়ে এসো।
_হুম যাচ্ছি.........
_এই লীলাবতী রাত্রিরে  আমায় দরকার হলে ডাকিস কিন্তু...।
_যাও বুড়ি ...............মুখে কিছু আটকায় না ।
রাত্রি দ্বি-প্রহর বিয়ে সমাপ্ত ।কোলাহল শুন্য বিয়ে বাড়ি। লীলাবতী
একলা ঘরে একটু পরে বর আসবে বাসর ঘরে ।
বর-লাইট টা জ্বলুক ।লীলাবতী লজ্জায় নীল ।ঠাকুম্মা উঁকি দিয়ে বললেন
-কি হে আমি কি আসবো এই নিবিড় ক্ষণে ?
লীলাবতী এগিয়ে গিয়ে ঠাকুম্মা কে ধরে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে দৌঁড়ে
পালাতে গিয়ে বললো__
ঠাকুম্মা তুমি ই মজা করো আমি গেলাম হিঃহিঃহিঃ
এই পাগলী নাতনী হিঃহিঃহিঃ ওরে যাসনে, ওরে যাসনে ।


রচনা
১৬।০২।২০১৪