কবি বন্ধুরা, আমার  আজকের লেখা কবিতাটি আমাদের  আসরের সবার প্রিয় কবি
হাসান  ইমতি  ভাই  এঁর  গতকালের   লেখা "আমি  এভাবেই  তাকাই"  কবিতার  
বিপরীতে  লিখার চেষ্টা করেছি মাত্র,তিনি পুরুষ কে নিয়ে লিখেছেন আমি নারী কে
ডেকে  এনেছি । ভালো মন্দ  আপনাদের  হাতে ন্যস্ত রইলো,কে কত  টুকু পারলো
ব্যাখ্যায় আসলে অনেক ভালো লাগবে জানতে পারবো,জানাতে পারবেন অকাতরে।
__________________________________________


আমি নারী,এইভাবেই তাকাই, নিষ্পাপ ইশারায়
আমি পৃথিবীর বুকে আলোর বাগিচা সাজায় যদি ও রূপের ঝলকে
রাজনন্দিনীর ঠোঁটের পাটি,টলমল করছে ভোরের ক্লান্ত শিশিরের মত
তথাপি নিজেকে সংবরণ করি,বর্বর চুম্বন এর করাল গ্রাস থেকে ।
হে পুরুষ তুমি শান্ত হও,এমন করে দেখো না,পাপ মোচন বড়ই কঠিন
বিধাতা এমন কাবিলিয়াত তোমায় দেন নি যে নারী কে ভাববে তুমি,
ভোগের পণ্য, সু-স্বাধু ফল,কিংবা হৃদয়ঙ্গম মনোরঞ্জনের সামগ্রী।
নারীর সুপ্ত আগ্নেয়গিরির দুর্নিবার লেলিহান শিখায় নিজেকে জ্বালিও না
আমি নারী,অধর নিঙাড়ি উথলিল বুকে,মধু ছিটানো,ক্লান্ত ভোরের শশী
আমি সেই ভাবেই তাকাই নিষ্পাপ ইশারায়,অমন নোংরা চোখে আমায় দেখো না।


আমি নারী,এইভাবেই তাকাই, নিষ্পাপ ইশারায়্
বুকের আঁচলে  স্নেহের পরশে,মধুর শ্যামল,সুনীল,সিন্ধু তীরে ভাসাতে তরীর মত
দখিন সমীরন দোল  খেলে যায় মনে,গন্ধ সুনির্মল উষ্ণ  মৈত্রীর মত অটুট থাকতে
নারী দেয় মান,নারী দেয় প্রাণ,সুখের নিশিতে  দীপ্ত হৃদয়ে ভরি অসীম ভালোবাসায়,
চুমিল পুরুষ অধর কাঁপানো ঘামে কম্পিত দেহ ভাসালো স্বর্ণ তরী মনের মোহনায় ।
নারী  অবলা  অবুঝ সুখবিলাসী,যৌবন তাপে মনে আনে যে জন ভুল করে ও
গর্জনগানে কাঁদবে তার জননী, হুহু হুংকারি অভিশাপে দগ্ধ সে মন অঝরে ।
বিধাতা আমায় অনেক কিছুই দিয়েছেন,এইটা নারীর অহংকার
এতো লোভ কিসের তোমাদের সে সব দেখে ?
ঘুম পরীরা ঘুমের রাজ্যে নির্দয় আঁখির দর্পে,বিদ্রূপ করে মরে নিরন্তর তবু ও নারী
পতি সেবা,সন্তান সেবা,পরিবার ,পরিজন তাঁদের অতুষ্ট না রাখার প্রয়াস।


রচনা
২৮।০২।২০১৪