জীবনের গান


সুধীর দাস


একটি ছেলে একটি মেয়ে অবাঞ্ছিত আমি
ব্যর্থ ভরা এ জীবনে নাই কোন তার দামি
ব্যথার পাহাড় শূন্য বুকে কষ্টের সাগর বাঁধে
সব হারিয়ে জীবনে আজ কাঁদে শুধু কাঁদে।


নুন আনতে পান্তা ফুরোয় দুঃখের নদী গলে
বাঁচার আশা ক্ষীণ আশা কাঁদে চোখের জলে
ভাই গিয়েছে আঘাত দিয়ে মা গিয়েছে মরে
শ্রাবণভরা মেঘ আকাশ চোখের জল ঝরে।


বাবার বাড়ি ভিটে মাটি সব দিয়েছি ছেড়ে
শেয়াল শকুন আজ সব লুটে খাচ্ছে কেড়ে
অপন করে যে পাশে ছিল সেও গেলো চলে
আমার জীবন সর্বহারা সাঁঝের বেলা ঢলে।


যার কাছে হাত পাতি কেউ বাসেনা ভালো
দুঃখ জীবন‌‌ অন্ধকারে ভীষণ রকম কালো
দুঃসময়ের রাহুগ্রাসে আজ সর্বহারা প্রাণ
ধুকে ধুকে বেঁচে আছে মৃত্যু লাশের ঘ্রাণ।


ভাত জোটেনা পেটে ক্ষুধায় কাটে রাত্রি দিন
পাঁজর খুড়ে কান্না উঠে বুকে চোখে নিদ্রাহীন
পূর্ণিমার ওই বাঁকা চাঁদে রুটির গন্ধ পাই
ডাস্টবিনর সব পঁচা খাবার গোগ্রাসে খাই।


"জন্ম আমার আজন্ম পাপ"বাঁচার নেই আশা
কেউ আমারে বাসে না ভালো ব্যর্থ সব আশা
চোখের সামনে মরীচিকা মায়ার মরীচিকা
তবুও জীবন বেঁচে আছে মৃত্যু জয়েটীকা।


কলকাতা
রাত-৪.২৫
২৫,০১,২১