আমি কোনো কবি নই,
নই কোনো শিমূলের ফুল।
অরণ্যে সুগন্ধির ভিড়ে
আমি অজানা এক  মুকুল।
আমার কোনো ছায়া নেই,
গগণ পানে উত্থিত শির আমি যে দূর্বা সেই।
আমার কোনো নাম নেই
নেই কোনো শিরোপা।
আমি কোনো মেঘ ঝরিয়ে যাই বৃষ্টি,
নই জগৎ পিতা, তবু করি সৃষ্টি।
আমি কোনো পক্ষীরাজ নই,
তবুও নিভৃতে আমার ক্ষুর শব্দ করে যায়।
আমি দিব্যি করে বলছি! বিলিভ মী,
বারি দেশে শায়িত আমি লতা কলমি।
গন্ধহীন জবা শুধু পূজার কাজে লাগে,
আমি এক ছন্দহীন, থাকি না বইয়ের পাতে।
আমি শুধু হাসতে জানি, কেঁদে ভাসাই বুক,
সুখের দুঃখের ছটা নিয়ে আমি অরুণালোক।

যখন অন্ধকার হয় বাঙ্ময়,
সুদীপ আমায় আলো দেখায়।
যখন আলো আসে,
আমি গেয়ে বেড়াই রাঙা মাটির পথে।
আমি যখন পূবালি বাতাস-- দিশেহারা ,
অন্তহীন এক জলধারা,
আমায় তখন শান্তনা দেয়
অসংখ্য বন্ধু নুড়ি কণা।
আমি কোনো ময়ূর নই, নেই কোনো প্রতিষ্ঠা,
মাঠে ঘোরা এক ফিঙে আমি লেজ চেরা।
আমি কোনো কাব্য লিখি না,
দেখি বিরহীর চোখে আবেগ-ঝরনা।
আমি কোনো আর্শি নই, নয়ন- লাজে রাঙা,
পাঁজরের ফাঁকে বেজে ওঠা প্রেমের হারমোনিকা।

আমি কোনো গায়ক নই,
নই কোনো গোলাপের তোড়া,
আমি দোয়েল- শ্যামার শিস
আমি দুঃখ-তারিত সভা ।
আমি বেলা শেষের গান
অজ্ঞাতে ভরি আবেগি সবার প্রাণ।
আমি প্রবাসী প্রিয়ের চিঠি,
আমি প্রিয়ার ওষ্ঠে মিঠি।
আমি তারায় জাগা নীল,
আমি বন্য শঙ্খচিল
আমি ভিক্ষে চাওয়ার হাত,
আমি আশ্রয় ফুটপাত;
আমি বাতাসে ভাতের গন্ধ,
আমি আস্তাকুঁড়___ আনন্দ;
আমি কখনো ট্রাকের ধোঁয়া
আবার ফ্লারিশের পদছোঁয়া ।
আমি আলোহীন এক বালক
আবার কখনো অরুণালোক।


আমি তো জানি না-- কাব্য কাকে বলে...
আমি শুধু ভাসি ছন্দ-সাগর জলে।
না না আমি সত্যিই কোনো কবি নই
আমিতো ছন্দহীন____ আবেগ বিলাই,
বোধ হয় কোনো ফেরিওয়ালা!
না হলে কেন এত আউলা-বাউলা?
আমি তো সুখে হাসি আবার কাঁদিও দুঃখে...
আসলে আমি পল্লী বালক--- উদাস টানে যাকে।