খুঁজছি, পথ খুঁজছি, আবার খোঁজা শুরু—
সামনে অনেক গুলো পথ,
কোনোটা সোজা চলে গেছে সামনের দিকে,
কোনোটা একটু বাঁয়ে ঘুরে আবার ডাইনে
মিলিয়ে গেছে উঁচু থেকে নীচে নেমে, একটা পিছন থেকে
এসে আমার বাঁদিক দিয়ে পাশ কাটিয়ে---
কোনোটা পাকা, কোনোটা কাঁচা, পাথুরে,
কোনোটা ভাঙা চোরা , বহুদিন মেরামত হয়নি মনে হয় –
উত্তরে, দক্ষিণে, পূবে, পশ্চিমে ----
আরো ভিন্ন ভিন্ন দিকে যাওয়ার অজস্র পথ সামনে;
কোনটারই শেষ দেখা যায় না।
শেষে কি আছে? কোথায় পৌঁছাব?
কিছুই বোঝা যায় না, জানা যায় না।
একটার ও পাশে কোনো ফলক লেখা নেই জানেন!
‘অচেনা যাত্রী কিভাবে পথ চিনবে তার গন্তব্যের??’--
যখন এই সব সাত-পাঁচ ভাবছি আর ভাবছি ,
হটাৎ এক বুড়ো এলেন—কোথা থেকে এলেন বুঝিনি---
“পথের শেষ নেই বাবু, আমাদের চলার সময় শেষ হয়ে যায়।
বিশ্বাসে, ভরসায় পথে নেমে পথ চিনে নিতে হয়,
বেশী ভাবলে সময় নষ্ট।” -- এই বলেই নির্দ্বিধায়
হাঁটতে হাঁটতে মিলিয়ে গেলেন দূরে----


আমি ঐ পাথুরে পথটাই ধরে হাঁটতে লাগলাম,
নাহলে যে ‘সময় নষ্ট’; পাথুরে পথটাই ধরলাম--
বিশ্বাসে--- যদি সভ্যতার থেকে দূরে কোনো
আদিম গোষ্ঠীর জনপদে পৌঁছাতে পারি, প্রকৃতির কাছাকাছি—
জল-জঙ্গল-জানোয়ারের সাথে যেখানে মানুষের সহাবস্থান;
বেঁচে থাকার, টিকে থাকার লড়াইটা
লড়াইয়ের মতোই করতে পারি তাহলে,
সেখানে সভ্যতার প্রসাধনের আড়ালে,
পরিমিত হাসির আড়ালে কোমরে কারো ছুড়ি লুকানো থাকবে না।
হয়ত লড়াইটা সেখানে জান্তব—কিন্তু মনুষ্যেতর নয়।
এই পাথুরে পথে হয়ত আমি মানুষের দেখা পাবো,
আদিমতার গন্ধ মাখা ‘মানুষ’—
হে পথ,
তুমি আমায় সেই জল-জঙ্গল ঘেরা জনপদে নিয়ে চলো—
আমি মানুষ দেখতে চাই। মানুষের মাঝে থাকতে চাই।।
                  -------০#০-------
চুঁচুড়া
১৯/০৯/২০১৯