(আমার পিতার জীবনের শেষ জন্ত্রণাক্লিস্ট দিন গুলোর পরিপ্রেক্ষিতে লেখা)
সেই কবে থেকে শুরু হাঁটা চলা
ছোটো ছোটো পায়ে শিশুর মতন,
‘মত’ কেন? শিশুই তো ছিলাম তখন।
টালমাটাল ভারসাম্যে অগোছালো হাঁটা
অবুঝ দৃষ্টি টুকু উপরেতে রেখে—
পায়ে ধূলো-কাদা লাগা শুরু
তখন থেকেই।
তারপরে, দশকের পর দশক অনেক
হাঁটলাম, কখনো বা আল পথ, মেঠো পথে
কাদা মাটি ভেঙে, শহরের রাজপথে কখনো বা—
কখনো কাঁটা বিছানো পথে অবলীলায় পদক্ষেপ,
অথবা কুসুমকীর্ন লাল গালিচা মোড়া পথে—
ব্যস্ততায় অথবা কোমল আলাপচারিতায় –
সে অনেক হাঁটা চলা।
প্রাণবন্ত সে পদচারনার দিন আজ পেরিয়ে
এসেছি শস্যহীন নিঃস্ফলা এই নির্জন প্রান্তরে;
ওই যে দূরে পথের শেষ দেখা যায়, পথ যেথা
শেষ হয়ে মাটিতে মিশেছে, হে নাথ—
দেরী কেন করো আরও? শেষ করো এ যন্ত্রণার
যাত্রাপথ, মেলাও এ নশ্বর দেহ ওই পবিত্র প্রবাহে—
সূর্যাস্তের আগে।
----০----
কালনা, ০২/১০/২০১৩