[তসলিমা ,আগামীতে শুধু তুমি ই গৃহীত হবে
বাকি সব বাদ।
রুদ্র-র সকাল শুধু তুমিময় থাকবে--
ঠিকানা থাক বা না থাক ।
সোচ্চারে উচ্চারিত অনধিকার ভালবাসার দাবী
শুধু তোমাকেই মানায়;
বাকীরা নিশ্চুপই থাক।


আরও কয়েকটা প্রজন্মের পর মুখ
ফুটুক, ততক্ষন ফাটুক না বুক --]


ততক্ষন জ্বলে জ্বলে শেষে নিভে যাক কাঁপা কাঁপা প্রদীপ শিখা,
ঠোঁটের ভিতরে অজস্র কথা অবরুদ্ধ হয়ে থাকুক
মুখের গহ্বরে, মনের গভীরে অনুচ্চারিত আহ্বান সব,
বুকের ভিতর হাঁফিয়ে ওঠা হৃদয়
শ্বাস রোধ করে মরে যাক--
দুই চোখ, আরো দুই চোখে,
আরো অজস্র চোখের তারায় তারায়
কথা বলে যাক ইশারায়;
ততদিন, অধিকার-অনধিকারের সীমানার কাঁটাতারে আটকে
রক্তাক্ত হতে থাকুক ভালোবাসা,
নিচে রক্তের স্বাদ নিক
নিয়মের পাহারায় থাকা হিংস্র শ্বাপদ--
ফোঁটা ফোঁটা রক্তের রঙে
লেখা হোক তোমার বাণী --- তসলিমা--


হয়ত শত বৎসর পরে, রুদ্রের সকালে
সেই কাঁটাতার আর খুঁজে পাবেনা;
তখনও তার ভগ্ন , ছেঁড়া টুকরোর পাশে মাটির গভীরে
কতকাল পূর্বের ক্ষত-বিক্ষত ভালোবাসার রক্তবিন্দু তে লেখা
তোমার বাণী রয়ে যাবে--তসলিমা--
তখন সমস্ত জগৎ শুধু তুমিময় --
                              -----★-----
কালনা
৩০/০৭/২০১৯


(স্বীকার:- লেখাটি দুজনের; '[  ]'-র মধ্যের অংশটি এক অন্য কবি অপর্ণা বড়ুয়া-র লেখা। পরের বাকি অংশ আমার সংযোজন, তারই ইচ্ছায়। তার অনুমতি নিয়েই প্রকাশ করলাম।)