“নিঃসঙ্গতার আঁধারে জীবন অবসান”


মাতৃগর্ভ!
সবথেকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
দশমাস দশদিন নিশ্চিন্তে থেকে আঁখি মেলে ধরিত্রিতে।
গুটি গুটি পায়ে বড় হয়-পেরিয়ে আসে বয়ঃসন্ধিকাল সময়!
আবদ্ধ হয় বিয়ের বন্ধনে।
বেড়ে যায় বয়স-আসে শরীরে জড়জীর্ণতা;
এমন করেই একটি জীবনের হয় অবসান-
মৃত্যুর মধ্য দিয়ে!
আছে জানা সকলেরই মৃত্যু যাত্রায় একাকী করতে হয় যাত্রা-
কেউ তো হয়না সঙ্গী।
একবিংশ শতাব্দীতে আজ মানব প্রাণ শঙ্কিত; উদ্বিগ্ন আর-
উৎকণ্ঠায় কাটছে প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ “করোনা ভাইরাসের” আতঙ্কে।
নিয়তির নির্মম পরিহাসে যাদের শরীরে বেঁধেছে বাসা “করোনা ভাইরাস”-
তারা আজ হয়েছে  একদম একাকী আর নিঃসঙ্গ।
কাছের মানুষগুলোও নেই পাশে আজ তাদের-
বদ্ধ ঘরে একাকী কাটছে দিনরাত্রি!
এমন করেই অনেকগুলো জীবনের অবসান নিঃসঙ্গতার আঁধারে।
জীবনের শেষ মুহূর্তেও পায়না দেখতে কাছের মানুষগুলোর মুখশ্রী!
একাকী জীবন অবসানের পরেও কাছের মানুষগুলো-
ছুঁয়ে দেখেনা শেষবারের মতো!
মানব হৃদয়ের এমন একাকী আর নিঃসঙ্গতা দেখে-
আঁখি হয় অশ্রুসিক্ত!
কেন আজ মানুষ এতো অসহায়?
নিঃসঙ্গতার আঁধারে নয় জীবনের অবসান হোক-
প্রিয়মানুষগুলোর মুখশ্রী আর ভালবাসার সঙ্গ পেয়ে।