“মাতৃত্বের শূন্যতা”


সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি-
বড্ড বৈচিত্র্যময়; রহস্যময় আর সবথেকে সুন্দরতম।
সেই সৃষ্টি অব্যাহত রাখতে;
একটি নারী আর পুরুষের মিলনে “নারী” পায় মাতৃত্ব।
শত কষ্ট, যন্ত্রণা নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখায়-
তারই নাড়ি ছেড়া ধনকে।
সেই অনুভূতির কাছে ছোট ছোট দুঃখের অনুভূতি বড্ড তুচ্ছ।
তবে সৃষ্টিকর্তা সবার ভাগ্যে দেয়না “মাতৃত্বের পূর্ণতা”।
কোন কোন “মা” জন্ম দেয় মৃত সন্তান; কিছু মায়ের হয় গর্ভপাত।
আবার কিছু “মা” নিজের থেকেই করে দেয় নষ্ট নিজের সন্তানকে!
…………
হে! আমার নাড়ি ছেড়া ধন!
জানিনা কোথায় আছিস কেমন আছিস।
কোন “মা” স্নেহ দিয়ে তোকে বুকে টেনে নিয়েছে তো।
জানি কোনদিন তোর এই জন্মধাত্রী “মা” কে পারবিনা চিনতে।
সৃষ্টিকর্তার কাছে তোর দীর্ঘ আয়ুর মনস্কামনা জানাই।
আমায় ক্ষমা করে দিস-তোর মা হয়েও তোকে দূরে ঠেলে দিয়েছি বলে।
কি করতাম বল; তুই তো বড্ড ছোট কি করে মায়ের কষ্ট বুঝবি ?
তোর জন্মধাত্রী “বাবা” কে ভালবেসেছিলাম পাগলের মতো।
দিয়েছিল প্রতিশ্রুতি আমায় করবে বিয়ে।
পারিনি বুঝতে তখন তোর বাবা শুধু আমার শরীরকে ভালবেসেছে।
পারবে না তোর আর আমার দায়িত্ব তাই-
সেই মানুষটিকে ত্যাগ করে জন্ম দিলাম তোকে।
সামাজিকভাবে “বিবাহিত” নয় বলে পারলাম না কাছে রাখতে।
মা হয়েও আজ আমার হৃদয় “মাতৃত্বের শূন্যতায়” হাহাকার!
এই মায়ের স্নেহ-ভালবাসা নাইবা পেলি-
তবু কোন মায়ের স্নেহের পরশ তো পেয়েছিস।
শুধু চাই তুই বেঁচে থাক আমার দৃষ্টির আড়ালেও।
আমি আমার “মাতৃত্বের শূন্যতা” হৃদয়ে-
গোপন করে সামাজিকভাবে কোন সন্তানের জন্মধাত্রী মা হবো।