“নিস্তব্ধ পড়ন্ত বিকেল”


রাতের আঁধার কেটে হয়েছে প্রভাত বেলার শুভারম্ভ।
হয়েছে বেশ কিছু দিন প্রকৃতির এমন নিস্তব্ধতা সাথে-
নিয়েছে মানিয়ে মানব প্রাণ।
যায় না শোনা পাখির কলকাকলি; শুধুই নিস্তব্ধতা প্রকৃতি জুড়ে।
মানবপ্রাণের মতো প্রকৃতি পারেনা গৃহবন্দী থাকতে;
“করোনা ভাইরাসের” আতঙ্কে।
প্রকৃতি আর মানবপ্রাণ সহ ধরিত্রীকে রেখেছে এখনো বাঁচিয়ে সৃষ্টিকর্তা।
বেলা গড়িয়ে যায় আপন গতিতে; আকাশ জুড়ে-
স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি সূর্যের উষ্ণতা!
শুধু মসজিদ, মন্দির থেকে ভেসে আসে আযান আর শঙ্খের ধ্বনি।
শহর জুড়ে এই প্রথম বিরাজ করছে এমন নিস্তব্ধতা প্রকৃতি জুড়ে।
ব্যস্তময় আর মানব পদচারণায় মুখরিত রাস্তাও আজ হয়েছে বড্ড একা।
এমন করেই দুপুর কেটে আসে পড়ন্ত বিকেল।
সেই আযান আর শঙ্খের ধ্বনি ছাড়া সেই নিস্তব্ধতা থেকেই যায়।
যতদূর আঁখি যায় নেই কোন যানবাহন, লোকের সমাগম, কোলাহল।
শুধু যাচ্ছে দেখা রাস্তার পাশে আছে বসে একাকী একটি পাগল।
আকাশের বুকে উড়ে চলে কয়েকটি চিল পাখি।
এক গাছ থেকে আরেক গাছে লাফ দেয় দু একটি বানর খাবারের সন্ধানে।
বাড়ির যে ছাদ গুলো থাকতো মুখরিত বাচ্চাদের দুষ্টুমি আর;
প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে গোধূলি বিকেল উপভোগ করা-
সেই ছাদজুড়েও আজ শুধুই নিস্তব্ধতা।
সময় আপন গতিতে প্রবাহিত হয়ে ধরিত্রীর বুকে-
নেমে আসে রাতের আঁধার।
নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে পড়ন্ত বিকেল মুখরিত হয়ে উঠে যেন-
মানবপ্রাণের মুখরিত কোলাহলে।