[এই রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে একটু সুখের স্মৃতিচারণের পরশ দেবার প্রয়াস সবাইকে]                      
                            
                                     “পুতুল বিয়ে”


পুতুল ! পুতুল !
ছোট্ট পুতুল;  চুলে তার লাল ফিতে আর ঠোঁটে হাসি।
সারাক্ষণের সঙ্গী হয়ে পাশে থাকে ছোট্ট একটি মিষ্টি মেয়ের।
পুতুল নিয়ে যার সারাবেলা মাতামাতি।
পুতুল তো পারেনা বলতে কথা তবু কতো কাছের;
ছোট্ট মেয়েটির কাছে।
মা যেমন স্নেহ দিয়ে আগলে রাখে তেমনি-
ছোট্ট মেয়েটিও পুতুলকে দেয় মায়ের স্নেহ-ভালবাসা।
নিজের হাতে চুল বেঁধে দেয়া- ঘুম পাড়ানো; এইভাবে কাটতে থাকে;
একটি মেয়ের সুন্দর আর মিষ্টি  শৈশব বেলা।
মেয়েটি যখন পা রাখে শিক্ষাঙ্গনে তবু মেয়েটির খেলার সাথী “পুতুল”।
পড়ার ফাঁকে মায়ের বকুনিতে ছুটতে গিয়ে গাল ফুলিয়ে;
পুতুলের সাথে কতো মান-অভিমানের কথা যায় যে বলে মেয়েটি।
ধীরে ধীরে ছোট্ট মেয়েটি হতে থাকে বড়।
যখন একটু একটু শুনে মায়ের কাছে মেয়েদের বিয়ের গল্প-
রাজপুত্র এসে রাজকন্যাকে নিয়ে যাবে ঘোড়ায় চেপে।
সেই থেকেই ইচ্ছে জাগে ছেলে পুতুলের সাথে দিবে বিয়ে।
বাবাকে বলে ছোট্ট মেয়েটি “বাবা আজ আমার পুতুল বিয়ে”।
করতে হবে রান্না “পোলাও-মাংস” ; সাথে থাকবে “কোকাকোলা”।
আসবে কিছু আত্মীয়; হবে দেখা সবার সাথে।
আমার মেয়েকে আশীর্বাদ যাবে দিয়ে।
এইভাবেই উৎসবমুখর দিনে কেটে যায় একটি পুরো দিন।
পুতুল কন্যা নেয় বিদায়।
ছোট্ট মেয়েটি সেই জগত ছেড়ে পদার্পণ করে আরেকটি জগতে।
এইভাবেই একটু একটু করে সেই “পুতুল বিয়ে” খেলার মতো নিজেই একদিন-
বধূ বেশে বিয়ে করে বিদায় নেয় বাবা-মায়ের ঘর শূন্য করে।
তবু বাবা-মায়ের কাছে সে থাকে ছোট্ট পুতুল মেয়ে হয়ে সারাজীবন।