(ছেলেবেলার জন্মদিনের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার প্রয়াস……)        
  
                   “শৈশব জন্মদিনের স্মৃতিমালা”

আঁখি মেলে জীবনের অতিক্রান্ত দুটি বছর।
ছোট্ট প্রাণটি বুঝেনা জন্মদিনের গুরুত্ব, কেন সবাই তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত।
ধীরে ধীরে বুঝতে শিখে।
একটি বছর পরে ঘুরে আসা নিজের জন্মদিনের জন্য থাকে প্রতীক্ষায়।
জন্মদিনে!
সবাই করে মাতামাতি তাঁকে নিয়ে; আসে খেলার সাথীরা।
সবার মধ্যমণি হয়ে ছোট্ট প্রাণটি প্রতীক্ষায় থাকে-
কখন আসবে সেই ক্রিম কেক; কখন খাবে ক্রিমের সেই গোলাপটি।
মাথায় পড়ে জন্মদিনের টুপি ছোট ঠোঁটে মোমবাতি নিভিয়ে কাটে কেক-
এমন সময় চলে “হ্যাপি বার্থডে গান” সবার কণ্ঠে দিয়ে হাতে তালি।
গুরুজনেরা করে আশীর্বাদ সেই ছোট্ট প্রাণটিকে যেন হয় অনেক বড়!
হরেক রকমের উপহার জমতে থাকে ঘরের এক কোণে।
প্রতিজনকে প্লেটে প্লেটে দেয়া হয়-
এক টুকরো কেক, চানাচুর আর সাদা রসগোল্লা।
কিছু পরে সবার হাতে দেয়া হয় বিরিয়ানির প্লেট;
সাথে থাকে গ্লাস ভর্তি ঠাণ্ডা কোকাকোলা।
কিছু কিছু খেলার সাথীদের দেয় খায়িয়ে তাঁদের মায়েরা।
আবার কিছু খেলার সাথী কোকাকোলার গ্লাস নিয়ে করে ছুটাছুটি।
বিদায়ের আগে খেলার সাথীরা নিয়ে যায় বেলুন সঙ্গে করে।
এমন করেই শেষ হয় নতুন একটি বয়সে পদার্পণের শুভানুষ্ঠান!
ছোট প্রাণ অনেকগুলো বছর জীবন থেকে কাটিয়ে বড় হয়ে যায়।
থাকেনা শৈশবের মতো উদ্দীপনা “জন্মদিন” নিয়ে।
শুধু হৃদয়ে শৈশব জন্মদিনের স্মৃতিমালা-
একাকী মুহূর্তে অজান্তেই মানবকে হাসায়!