“ভালবাসায় চেক”


পাতলা একটি কাগজের পাতা-
যার মাঝে থাকে কিছু তথ্য, টাকার পরিমাণ আর শেষে স্বাক্ষর;
তাই নিয়েই একটি চেক।
কতোই না দাপট এই একটি মাত্র চেকের।
অবশ্য থাকতে হয় ব্যাংকে সেইরকম অর্থের দাপট;
করতে কার্যকর সেই চেকের।
শুধু একটি স্বাক্ষরে অনেককিছু যায় যে বদলে নিমিষেই।
যেন হাতের কাছে আকাশের চাঁদ পাওয়া।
যার আছে ব্যাংকে অর্থের পাহাড় আর হাতে চেক;
সেই মানুষটির পা যেন মাটিতে পড়েনা।
চেক যেন এমনি এক সোনার খনি-
যার কাছে ভালবাসাও হয়ে যায় বিক্রি।
টিভির পর্দায় সিনেমায় যেত দেখা-
ভালবাসার মানুষটির বাবা চেকে স্বাক্ষর করে হাতে দিয়ে বলছে-
“কতো লাগবে টাকা; বসিয়ে নিয়ো অঙ্কের পরিমান;
তবু আমার মেয়েকে ভালবাসার কথা যাও ভুলে।“
মাঝে মাঝে হয়তো নায়ক বিক্রি হয়ে যেত চেকের কাছে নয়তো-
মুখের উপর চেক ছিঁড়ে কিছু ভালবাসার সংলাপ বলে যেত চলে।
সিনেমার মতো বাস্তবে;
কিছু হৃদয়ের ভালবাসা থাকে যাদের মাঝে অর্থের চেক অন্তরায়-
সেই চেকের দাপটে কাঁদে হৃদয়গুলি।
হৃদয় থেকে যে ভালবাসা আসে জীবনে সেই ভালবাসায়-
চেকের হয় পরজয়।
নামটি তার অর্জুন; চেকের দাপটে ভালবাসা তার হয়নি পরাজয়।
নামের ন্যায় অর্জন করে নিলো জয়;
ভালবাসা দিয়ে সবার হৃদয়!
পেয়েছে ভালবাসার মানুষটিকে জীবনে কেননা;
দুটি হৃদয় বাঁধা ছিল সত্যিকারের ভালবাসায়।
তাইতো তাঁদের ভালবাসায় চেক হয়েছে পরাজিত।
“ভালবাসায় চেক” নয়-
হৃদয়ের দাপট হোক প্রজ্বলিত প্রদীপ শিখার ন্যায়।