“অনুভবে বঙ্গবন্ধু”

হে! বঙ্গবন্ধু-
তুমি তো ছিলে বাঙ্গালী জাতির আঁধারের পথে-
প্রজ্বলিত শিখার কাণ্ডারি!
তোমার একটি আঙ্গুল উঁচিয়ে সেই দরাজ কণ্ঠে দেয়া স্বাধীনতার ডাকে-
ঝাপিয়ে পড়েছিল যার যা ছিল তাই নিয়েই এই দেশকে বাঁচাতে;
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের হাত থেকে।
জননীরা দিয়েছিল তাঁদের সন্তানকে এগিয়ে অগ্নিপথে; বোনেরা দিয়েছিল-
তাদের সম্ভ্রম; বৃদ্ধ আর নবজাতক শিশুরা দিয়েছিল প্রাণ অকালে;
নির্যাতন কিংবা অনাহারে।
রক্তধারার প্লাবনের বিনিময়ে নিয়ে এসেছিলো;
তোমারি পথে অগ্রগামী জাতিরা।
যাদের দিয়েছিলে ডাক স্বাধীনতার-
তারা তো দেশের মতো বুকের রক্ত দিয়ে পারেনি রক্ষা করতে তোমার জীবন।
জ্বালিয়ে প্রজ্বলিত শিখা; তোমারি জীবন গেল নিভে ঘুটঘুটে আঁধারে!
তুমি পরপারে থেকে দেখছো সবকিছুই।
তোমায় দেখেছি সর্বদা ছবির মাঝে!
মায়ের গর্ভ থেকে যেদিন মেলেছি আঁখি ছিল না তোমার অস্তিত্ব।
বড় হয়েছি এবং হচ্ছি তোমকেই অনুভবে ধারণ করে।
জানো আমি কে?
আমি নতুন প্রজন্মের কর্ণধার।
আমাদের তরুণদের হাতেই তোমার সোনার বাংলাদেশের চাবিকাঠি!
আমাদের আশীর্বাদ করো-
আমরা তরুণেরা তোমায় হৃদয়ে অনুভব করে;
এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এই সোনার বাংলাদেশ না হয়ে পদভ্রষ্ট আর বিপদ্গামি।
হে! বঙ্গবন্ধু !
অনুভবে থেকো তরুণদের হৃদয়ে।


[“মুজিব শতবর্ষ”]