“অন্তরালে করুণ মৃত্যু”


নারী-প্রেয়সী-মা-বোন-কন্যা-
তাঁদের পরিচয় “নারী আর মায়ের জাতি” হিসেবে।
তাঁদের স্থান তো স্নিগ্ধতা আর সর্বোচ্চ সম্মানের শিখরে।
রূপ তাঁদের কখনো স্নিগ্ধতায় পূর্ণ আবার-
কখনো অগ্নির বহ্নিশিখা!
হৃদয় তাঁদের বড্ড কোমল তাই তো সকল ভুল-
ক্ষমা করে স্নেহের বন্ধনে বেঁধে বুকে টেনে নেয় মায়েরা।
প্রেয়সী ভাসায় প্রেমের জোয়ারে তাঁর প্রেমিককে!
তবু নারী জাতিদের গণ্য করা হয়ে এসেছে সেই প্রাচীন যুগ থেকে-
শুধুই ভোগ্যপণ্য আর অবলা জাতি হিসেবে!
কামুক পুরুষ; রাজা করেছে ব্যবহার নারীদের-
দেহ ভোগ আর বিনোদনের জন্য।
নাচাতো তাঁদের সবার সামনে সুরা করতে করতে পান।
একবিংশ শতাব্দীতেও আজ নারীরা অবহেলিত-নির্যাতিত !
পুরুষেরা একবারো কি ভেবেছে নারীদের মাঝে আছে অসীম ধৈর্য;
ক্ষমতা প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করার।
আজ এখনো অনেক পরিবারে আছে রীতি “আঁতুড় ঘরে”
প্রবেশ নিষেধ পুরুষ ডাক্তারের এমনকি সিজারও পারবেনা করাতে।
প্রাচীন যুগে সমাজ দিতো না সুযোগ মেয়েদের হতে ডাক্তার।
তাইতো সেইসময় অনেক মায়েদের হয়েছে-
অন্তরালে করুণ মৃত্যু।
আজ সমাজের চিন্তা-ভাবনার মাঝে এসেছে পরিবর্তন !
ডাক্তারি জগতে আজ অনেক নারী নারী ডাক্তারের পদচারনা !
বন্ধ হোক অন্তরালে করুণ মৃত্যু-
কোমল-স্নেহময়ী-মমতাময়ী মায়েদের !