“আঁধারের রুদ্ধশ্বাস”


ঝলমলে আকাশ।
আকাশের পূব গগনে তেজস্ক্রিয় সূর্যের কিরণ!
গোধূলি বিকেলের শান্ত হলুদ আভা নিয়ে আশ্রয় পশ্চিমে-
নেমে আসে আঁধার পৃথিবীর বুকে।
নীরব হয়ে আসে সকল কোলাহল।
ঘুমের পুরী তে আচ্ছন্ন দুয়ারে কড়া নেড়ে আবারো নতুন ঊষার আগমন!
……………
সবাই কি সৌভাগ্যবান আরো নতুন একটি ঊষা দেখবার?
আযানের ধ্বনির সাথে সাথে যায় শোনা;
পরলোকগমন করা প্রাণের খবর-
আবার কখনো ছোট্ট প্রাণ দেখতেই পারেনি আঁখি মেলে সুন্দর পৃথিবীটা!
আবার কেউ কেউ এক যুগ, দুই যুগ কিংবা সারাজীবনের জন্য-
হয়না তাদের সৌভাগ্য সৃষ্টিকর্তার তৈরি এই প্রকৃতি;
আকাশ, নতুন ঊষা দেখবার!
জীবন তাদের বদ্ধ লোহার দুয়ার আর চার দেয়ালের ছোট্ট কামরায়।
দুবেলা দুমুঠো তৃপ্তি করে খেতেও পারেনা!
আঁধারের রুদ্ধশ্বাস মানব দেহে গ্রহণ করে বাড়তে থাকে বয়স।
এইভাবে এই বদ্ধ চার দেয়ালের কামরায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।
জানতে চাও কাদের প্রতিটি দিন কাটে আঁধারের রুদ্ধশ্বাসে !
তারা যে কয়েদী !
কোন কোন অপরাধ কিংবা পাপের সাজা পায় এই আঁধারের রুদ্ধশ্বাস।
জানি তাদের অপরাধের হবেনা ক্ষমা।
তবু কি মানুষ পারেনা একটু সদয় হতে তাদের প্রতি।
তাদের বসবাসের স্থানটুকু হোক এমন জায়গায়-
যেথা থেকে নিতে পারে প্রকৃতির নির্যাস আর;
দেখতে পারে আকাশের নতুন ঊষার আলো-
গোধূলি বিকেল আর নিস্তব্ধ রাত্রি !