সৃষ্টির নিয়মেই সৃষ্টি বিনাশশীল।।
তাই,হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোর মতো আজকের
সভ্যতারও সমাপ্তি ঘটবে একদিন;
হয়তো তা পরিণত হবে কোনো জরাজীর্ণ ধ্বংসস্তূপে।।
হয়তো হাজার বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর
কোনো প্রত্নতত্ত্ববিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে সেই ধ্বংসস্তূপ;
খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষনের পর আবিস্কার হবে এই
বিগত যুগের জীবন-প্রণালী,খাদ্য সামগ্রী
এবং নানান তত্ত্বসমূহ;
কিন্তু,নাড়ির টানে শিশুর চোখে আদর মাখানো
মায়ের ঘুমহীন রাত্রিগুলো যেভাবে অতিবাহিত হয়,
ছেঁড়া চিরকুটে লেখা প্রেমপত্র যেভাবে দুটি
হৃদয়ের স্পন্দনকে আরো গভীরতর করে,
আঁধারী-আলোয় আকাশের তারাখসা দেখে
হঠাৎই মনের কোণে জমে থাকা ইচ্ছে পূর্তির আবেদন;
এগুলো কি তখনো ধরা পড়বে সেই প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায়?
আবেগের গভীরতা কি স্থান পাবে ইতিহাসের পাতায়?
নাকি হারিয়ে যাবে সভ্যতার ধ্বংসস্তূপের মরুপ্রান্তরে কোনো মরীচিকার ন্যায়??