অন্তরীক্ষে প্রবহমান সৃষ্টির সুর চিরঅনন্ত ও শাশ্বত,
বিবর্তনের পূর্বেও এই সুর ছিল আর ধ্বংসের পরেও থাকবে;
প্রাণীর প্রতিটি রক্তকনায়,প্রস্ফুটিত শতদলের প্রতিটি পাপড়িতে এবং
অনেক গভীরে চাপা পড়ে থাকা প্রস্তরীভূত জীবাশ্মস্তরে এই অনাহত নাদ
পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে পূর্ণভাবে;
প্রেমের বৈভব কিংবা ধ্বংসের কামনা
আলোর আভাস কিংবা ব্যর্থ বেদনা
ক্রমাগত লিপিবদ্ধ হয়ে চলেছে মহাকালের দরবারে;
ভবিষ্যৎ এর গঠন-প্রণালী নির্ধারিত হবে সেই অনুপাতেই এবং
তার আবির্ভাব ঠিকই ঘটবে সময়ের কালচক্রে;
এই আবির্ভাব কখনো পঞ্চ-ইন্দ্রিয়ের গ্রহণযোগ্য
আবার কখনো লোকচক্ষুর অগোচরে থেকে যায়।।
সৃষ্টি-ধ্বংস-উন্নয়ন-পতন সবই এক এবং অখণ্ড;
শুধু বিভেদের কারণ হলো
সেই শাশ্বত সুরের কম্পাঙ্কের বিন্যাসের তারতম্য।।