মানব সৃজন করে বসে রয়েছে বিশ্ববিধাতা।
কেউ সুন্দর, কেউ কালো, কেউ নাটা।


মানুষের মন, প্রবৃত্তি উচ্চ আক্ষাঙ্কার।
কারো আবার হীনমনা সমাজ সেবার।


মানুষ আজ নামেই, তার হারিয়ে গেছে হুঁশ।
চাতুরীপনায় পারদর্শী, স্বার্থের আঘাতে করে উঠে ফুস।


অস্থি, মজ্জা, মাংসপিন্ড, রক্তে, র্বীযে ভরা।
হৃদ যন্ত্র বিকল হলে, তুমি হবে মরা।


করিসনে মানুষ এত অহংকার, কিসের গর্ব তোমার।
দুছাই করবে আড়াল হলে, অভিশপ্ত হবে সবার।


মানুষের যেন বিবেক-বুদ্ধি পুড়ে হয়েছে ছাই।
সুযোগ সন্ধানী মানুষ সবে, আহ্লাদে কয় ভাই।


গুপ্ত কত অভিলাষে, চলে আধারঁ সরণি?
আইন-কানুনের বাধা মানে না করে নিরবধি।


প্রেমে যেন পূর্ণ হৃদয়ে গড়েছে মন্দির।
আশাভঙ্গে ফুঁপিয়েঁ কাঁদে, মৌনতায় নিবির।


নানা চরিত্রের মানুষে ভরা এই ধরিত্রী।
কত গুনের সংমিশ্রন তাহার নানান বৃত্তি?


মানুষ বলে আখ্যা দেই সভ্য সমাজে।
মূল্য নাই কোন মানুষের, একশ্রেনীর মানুষের কাছে।


মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে, জলে দিয়ে বির্সজন।
এই জগতে কেউ কারো না, কেউ নয় আপন।


কারো হৃদয় পঙ্কিলময়, কারো ইদ্রিয় বিলুপ।
কত আছে সরল মানুষ, সারল্যের মূর্তি স্বরূপ?


মানুষ যেন বাহিক্য আচরনের এক নিপুণ অভিনেতা।
ভাল-মন্দ সবই করে, মানুষ মনের প্রনেতা।


যা বলবে শুনে চল, তাহলেই খুশ।
কত সুর্কীতিতে পেয়েছি মানব দেহ?
তাই আমরা আজ মানুষ।




রচনাকাল: ২৫/০৮/২০ইং
সকাল: ১১.১০ মিনিট