চিত্ত হরিলো প্রকৃতির মাঝে আকর্ষ প্রবল টানে।
যবে হেরি নিত্য প্রভাতে হেঁটে যাই তব পানে।


সবুজ লতায়-পাতায় ঘেরা অরণ্যের ডাক শুনে।
ছুটে আসি মিলতে সেথায় প্রকৃতির আহবানে।


সুরের তালে মধুর কন্ঠে মিলে গাই গলা।
আকুল পিয়াসে তব পিপাসায় কাঁটাই সারাবেলা।


পরানের তরে মৃত্তিকার তলে অদ্ভুত গন্ধের মায়া।
রিক্ত দেহ সিক্ত হলো তব প্রেম অবগাহনের ছায়া।


চঞ্চল হৃদয় ব্যকুল কেন গো জানিনা,  আমি এখনও একা?
বন-বাদাড়ে বিহঙ্গের কলতান পরানে হলো আঁকা।


তব আহবানে এসেছি আজি দাঁড়ানো তরু তলে।
ছিন্ন করে সব বন্ধন মিশে যাবো প্রকৃতির অতলে।


ঘাসের শিশিরে পা ভিজছে, ঠোঁটের স্পর্শ  জল।
ঘোমটা মাথায় কুয়াশার চাদরে, শীত সন্ন্যাসীর উন্মুক্ত সকল।


রাতের আঁধারে ধরণী হারালো নিস্তব্ধ মহল।
অপূর্ব রূপে ভিজে সাজে, অকৃপণ তিমির দলবল।


ঐ যে দূর সীমায়, অম্বরীর বুকে তারকা রাজির মেলা।
মহাশূন্যের বিশাল কায়ায় জ্বলে করে খেলা।


চাঁদের কিরণে গা ভাসিয়ে স্নিগ্ধ ভরা প্রাতে,
বসে রয়েছি তটিনী নীরে অঙ্গ সুখের ছোঁয়াতে।


দুটি হস্ত পূর্ণ করে লুটে লয়েছি প্রকৃতি করে অর্পণ।
আষাঢ়ে শ্রাবণ ঝরে,  মনের উন্মাদনায় নেচে করে বন্ধন।


আমি অরণ্যের তরে খোঁজ পেলাম আপন ঠিকানা।
প্রকৃতির দর্শনে মুগ্ধ অনুভূতি তার নেই তো তুলনা।




রচনাকালঃ ২৪/১০/২১
রাতঃ ০৮.৫৪ মিনিট