ও পদ্ম, তুমি ওই কাদায় এত সৌন্দর্য কোথায় পেলে?
তোমাকে ছোঁয়ার আশায় আমার রাতের ঘুম হারাম হয়েছে।
ঘুটঘুটে আঁধারের মাঝে রূপালী আভায়
তোমার ঐশ্বর্যসমূহ রত্ন হয়ে ঝরে পড়ে।


ও পদ্ম, আমার প্রাথর্নার বানী কি
তোমার হৃদয়ে আলোড়ন তোলে না!
আমি সবকিছু চিরতরে ফেলে এসেছি
তোমার কাছে ধর্মচ্যুত হব বলে।


পদ্ম, পদ্ম,
আমি পঙ্কে ভীষন ভয় পাই,
তবুও আমার দেহকে এলিয়ে দিলাম
না-ছুঁই জল, না-ছুঁই কাদামাটিতে;
অলৌকিক শিহরন খেলে দু'একটি
দোঁড়াসাপ আমার শরীর স্পর্শ করলো।
আমার ডিঙ্গি নাই।
তোমার কাছে কখন পৌঁছাব?
কখন পোহাবে হাজার বছরের এই অমলিন রাত?


ও পদ্ম, আমার কানের কাছে ভ্রমরের গুঞ্জন;
আড়ষ্ট শরীর আমার কথা শোনে না।
তুমি এগিয়ে এসে আমার জড়তারে ভঙ্গ করো,
ঠোঁটে একে দাও উষ্ণ পাপড়ির ঘ্রান।


পদ্ম, তুমি শুনছো কি?
প্রবাহমান রক্তস্রোত হিম হয়ে যাবে শেষ রাতে,
কাদায় পড়ে রবে আমিহীন নিথর অনুভূতি।


আঁধারের মায়া ভুলে আমায় তুমি ছুঁয়ে দাও!
আমরা হারিয়ে যাব উজ্জ্বল গ্রীষ্মের
প্রখর রৌদ্রঘেরা দুপুরের মাঝে।


ও পদ্ম, তুমি আসবে কি?