শরীরের থেকে মনের রোগ অনেক বেশি ভয়ংকর,
ওপর থেকে কিছু ক্ষতিকর বোঝা না গেলেও
আক্রান্ত মানুষটি ভেতরে ভেতরে মরে যায়।


তখন তার সহায় হয় হারানো দিনের স্মৃতিরেখা,
সময়ের প্রবল স্রোতে ভেসে চলা ভালবাসা
নোঙর ফেলে পুরোনো সান বাঁধানো ঘাটে।


যেখানে একটা সময় বসন্তের কৃষ্ণকলি খেলতো;
অবিরাম এক নারীর কক্ষপথে ঘুরে বেড়াতো মন,
যেমনিভাবে চাঁদের আকর্ষণে কিছু স্থানে জোয়ার হয়।


মোহিনী ফুলেদের সুবাস ফুরিয়ে যাবার পর
দিগন্তরেখা জুড়ে শুধু হতাশা রাজত্ব করে,
ডুব দিয়ে প্রতিনিয়ত কষ্টগুলো ধুয়ে নিতে হয়।


কিন্তু একবার মনজগত প্রেমে কলুষিত হলে
সেখান থেকে আর কখনো নিস্তার মেলে না,
মুনি-ঋষিও তপস্যা ভেঙে মেনকার স্মরন নেয়।


যুগল প্রাণের বৃন্তে যত ফুল ফোটবার অপেক্ষায় ছিল
তারাও মৌন স্বপ্নের মত ফেরারী হয়ে যায়,
হৃদয়ের কেন্দ্রে এক গোপন রোগ বসতি গড়ে।


প্রবল বৃষ্টির আশায় যখন তরুলতা নুয়ে আসে
তখন সেই ঔষধি নারীর ভীষণ দরকার পড়ে;
চাঁদের আলো ফুরালে যেমন সূর্যের থেকে আলো নেয়।


তার নাভিশ্বাসের ভেষজ ঘ্রাণে মদিরতা থাকে-
মনের শুকনো দেওয়ালে আঁচল ভরা জলের স্পর্শে,
সুপ্ত হৃদয় কানন আবার ফুলে পাতায় প্রাণবন্ত হয়।


ভালোবাসা মিশ্রিত সময়ের ঘড়িতে পেন্ডুলাম দোলে,
হার মানা হৃদয়ের যে রোগ কোন ওষুধে সারেনি,
সে অসুখ আরোগ্য হয় ঔষধি নারীর এক ইশারায়।