আজ আমি তোমার কাছে হ্যাঁ শুনতে চাই


তোমার পরিধিতে গ্রহের মত ঘুরতে ঘুরতে  
অলির রোগ হয়ে গেছে মনের
তোমার কাছেই ভালোবাসার বর্ণমালা হঠাৎ শিখে
রাতারাতি লিখে ফেলেছি মহাকাব্য
কিন্তু তুমি হঠাৎ নিস্পৃহ হওয়ায় সব থেমে গেছে মাঝপথে।
শুধু একবার হ্যাঁ উচ্চারণ কর নিবু,
আমি প্রেমের অগ্নুৎপাত ঘটাবো –
শান্তি রেণু ছড়িয়ে দেব মহাবিশ্বের অনুতে অনুতে
সাত মহাদেশের কোথাও দরকার হবে না শান্তিরক্ষী সেনাদের
তারা সব প্রেমের জয়তিলক পরে
শান্তির জলপাই শাখায় বসে বাজাবে শ্যামের বাঁশি ।
ছলনাধারী নর-নারী নির্বাক হয়ে দেখবে-
ভালোবাসার অমরাবতী কত অনুপম
জোড়া-হৃদয়ের দিনমান বাকবাকুম দেখে
ভীনগ্রহে নির্বাসন নিবে সকল ছলনাকারী।
শুধু একবার হ্যাঁ বল নিবু।


তোমার প্রেমের আগুনে অগ্নিশুদ্ধ হতে হতে
মন যে কয়লা হতে বসেছে
আর বেশী দেরী করলে মন-পোড়া ছাই দিয়ে
অ্যাসেজ-ক্রিকেট-সিরিজ খেলতে হবে তোমাকে ।
তাই অথৈ মুগ্ধতায় ক্লান্তি আসার আগেই
হ্যাঁ বলে দাও নিবু
তুমি বললেই আমি আয়োজন করব প্রেমের মহাসম্মেলন
শান্তিভূক নেতারা সব কৌশলী রাজনীতি ভুলে
প্রেমোৎসবে মেতে খেলতে থাকবে শান্তির এক্কাদোক্কা
এক ভেলায় করে বিশ্বভ্রমণে বের হবে
শান্তির বুদ্ধ, স্বপ্নের লুথার কিং আর অহিংসার গান্ধী ।
মানবাধিকারের জেহাদ ছড়িয়ে পড়বে ব্রহ্মাণ্ডের অলিতে গলিতে।  
কপট প্রেমিক-প্রেমিকার দল লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে, দেখবে
প্রেমের শিখা কিভাবে হাজার নক্ষত্রকে অন্ধ করে
অমাবস্যার বুকে নিয়ে আসে থৈ থৈ জ্যোৎস্না ।
শুধু একবার হ্যাঁ বল নিবু।