আর ভদ্রতায় নয় এবার খেদ খিস্তি আন মুখে
মুত্র বিসর্জন কর ভণ্ড জমিদারের কুকুরাসনে।
যারা ভয় পায় উঠতি শক্তি- অগ্নিগিরির ভেতরের গর্জন
কুটকৌশলে নেভাতে চায় আগুন – সেই কাপুরষ ধর
ধর ওই নপুংসকের দল- ছিঁড়ে ফেল এক ঝটকায়
শুওরের বাচ্চাদের গলতকুষ্ঠ কলিজা – ভেঙে দাও ধূর্ত
শেয়ালের কুৎসিত দম্ভ বাঘের হুঙ্কারে।
দেখ বেদনার্ত- হে ক্ষুধাভরা বাংলা!
শত মতবাদে বিভাজিত যেন ভাজ পড়েছে তোমার কোল
হানাহানি করে দহন করছি অবিরত তোমার অন্তর।
অথচ দেখ না- স্টেডিয়ামে বসে গলাগলি ধরে প্রাণে প্রাণে
মিশে -এক সত্ত্বায় গেয়ে ওঠে শুধু “ বাংলার জয়”।
হাসপাতালের ক্ষীণপ্রানা রোগীরা পর্যন্ত কাতরতা ভুলে
প্রশান্তি খুঁজে যদি তুমি জিতে যাও হয়তোবা ফেলে একটি
দীর্ঘ নিঃশ্বাস তোমার পরাজয়ে।
শ্রমিক – কৃষক বেতারে কান পেতে থাকে
তোমার জন্য প্রার্থনা করে ষোল কোটি উৎসুক প্রাণ।
তুমি দেখ নি- তোমার বিজয়ে কেমন উল্লাস হয় রাজপথে!
চায়ের দোকানে ,বিদ্যালয়- অফিসে কিংবা গৃহিণীর রান্নায়।
আজ যদি সেই ক্রিকেটকে কেঁড়ে নিতে চায় তোমার বুক থেকে
গঙ্গার পানির মত কোন বীরত্বের মুখোশধারী কাপুরুষ স্বেচ্ছাচারী
তবে বলে রাখলাম আর ধৈর্য নয় গর্জে উঠবে সত্যি বাঘের গর্জন।
যদি কারফিউ দেয় কোন নব্য রাজাকার তবে রাজপথে আবার
রক্ত ঝরবে – বিশ্ববাসী অবাক হয়ে দেখবে আরেকটি ৫২।