কিশোরীর বিধ্বংসী ভালবাসার প্রত্যাশা আমি করি না
জানি সে বয়স আমার ফুরিয়ে গেছে – তবে স্ত্রীর
কমার্শিয়াল ভালবাসার প্রত্যাশা আমি করতেই পারি।
কারো কল্পনা গ্রাস করতে না পারি অন্তত বাস্তবতার
লাঙল চালাতে চাই কোন উর্বর ভূমিতে- হোক তা
আগাছায় ভর্তি কিংবা অসমতল- আমি ধারালো
কাস্তে দিয়ে পরিস্কার করে নিব- যাতে করে
লোকাল বাসের ভীরে আমার বেহায়া হাত যেন
ভুল করে ছুটে না চলে বন্ধনী আঁটা কোন তরুণীর
সংবেদনশীল বক্ষে- যাতে করে সুশীল সমাজের কেউ
যেন না বলে ওঠে “ইতরের বাচ্চা ইতর- ঘরে তোর
মা বোন নাই”?
এই নিশাচর যুগে অফিস টাইমে ডেকে দিবে এমন
প্রত্যাশা আমি করব না – তবে মোবাইলে এল্যারম
বেজে উঠলে ঘুমজড়িত কণ্ঠে যেন সে বলে-“ এই
এলারমটা বন্ধ কর তো ঘুমাতে দাও শান্তিমত, আল্লার
তিরিশদিন এমন ক্যানক্যান করলে কেমনটা লাগে”?
সকালের নাস্তা অফিসের চায়েই সেরে ফেলতে পারব
তবে রাতে ফিরে যেন শুনতে না হয়-“ ফুলবানু মেয়েটা
আজ আসে নি- হোটেল থেকে ডিনার কিনে নিয়ে আসো”