বিচ্ছিন্ন চিন্তার খাঁজে খাঁজে লুকানো কোন বিরল ভাবনা -
নিমিষেই হারিয়ে যায় তিমির ঘেরা অন্ধ-কানা গুহায়।
মোহময় জগতের বিশৃঙ্খল কর্মসাধনায় অবসন্ন দু-নয়ন
খুঁজে ফেরে কাদাজলে হাতরিয়ে মৎস্য শিকারীর মত।
ব্যর্থ হই বারবার তবুও রাখতে হয় কবিত্বের প্রমান।
কল্পনার মহাশূন্যে হেলেদুলে বিচরন করে আপনারে
আপনি সান্ত্বনা দেই নির্জন কোন গ্রহের একক ও একমাত্র
অধিবাসী ভেবে- দিগন্তের পরিসীমায় প্রানের অস্তিত্বহীনতায়-
আশ্বস্ত হই হয়ত এখানে সিংহাসন নিয়ে কাড়াকাড়ি নেই ।
হয়ত আয়োজন নেই কোমল হৃদয়কে কঠোর ধাতুর
প্রলেপে জড়িয়ে প্রতিনিয়ত নিজেকে আড়াল করে রাখবার।
প্রকাশিত পশুত্বে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে নরক-অনলে পুড়ে
উদ্ভ্রান্তের ন্যায় চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হবে না –মিছেই
কেন মানুষ করে পাঠালে প্রভু- কেন পশু বানালে না?


আত্মপ্রশান্তি নিয়ে বিছানায় এপাশ থেকে ওপাশে ফিরি
কঙ্কালসার মস্তিষ্কের ফাঁকা গহ্বর প্রকট হয়ে দেখা দেয়।
তবুও স্নায়ুযন্ত্রের এক একটি সুতো গেঁথে চলি কোন
অপটু তন্তুবায়ের মত ধীরে ধীরে  নিরবিচ্ছিন্ন একাগ্রতায়।
মহাজাগতিক রশ্মির কিছু দ্যুত্যি এসে চোখে লাগে যদি
এই কামনায় আমার অশান্ত হৃদস্পন্দন চেপে ধরে রাখি।